বন্দরে মসজিদের ঈমামকে লাঞ্ছিত, অর্থের বিনিময়ে বিচার সালিশ ও এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগে নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলামকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বন্দরের কুড়িপাড়া খোদাইবাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজের প্রাক্কালে তাকে সমাজচ্যুতসহ বয়কটের ঘোষণা দেন মুসুল্লী ও এলাকাবাসী। দেড় সহস্রাধিক মুসুল্লী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খোদাইবাড়ি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শাহ মাজহারুল হক মাজহার, সাবেক সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, গাজী আউয়াল, মনিরুজ্জামান পায়েল, হাজী মতিউর রহমান, কামাল হোসেন প্রমুখ।
এলাকাবাসী জানান, বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে প্রায় তিন মাস আগে কুড়িপাড়া খোদাই বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা নূরে সামদানিকে ঈমামের পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর মাওলানা ওমর ফারুক হেলালীকে ঈমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বহিস্কৃত নূরে সামদানি নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলামের পছন্দের লোক হওয়ায় তিনি এতে ক্ষুব্দ হন। এ নিয়ে গত এক মাস ধরে সমাজের বিশৃংখলার চেষ্টা করছেন কাউন্সিলর সিরাজ। এ ছাড়া তিনি অর্থের বিনিময়ে বিচার সালিশ করছেন বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এ কারণে শুক্রবার সিরাজুল ইসলামকে সমাজচ্যুত করে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দেন তারা।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট শাহ মাজহারুল হক মাজহার বলেন, বর্তমান ঈমাম অত্যন্ত ভাল ও শিক্ষিত মানুষ। কিন্তু তাকে তাড়াতে কাউন্সিলর সিরাজ উঠে পড়ে লেগেছেন। কোন কারণ ছাড়াই তিনি ঈমামকে বেশ কয়েক দিন রাস্তায় অপমান অপদস্ত করেন ।
যুবদল নেতা ও মুসুল্লী মিজানুর রহমান বলেন, এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তিনি সমাজটাকে বিভক্ত করতে চাইছেন। আমরা শান্তি প্রিয় মুসলমান বিভক্ত হবনা।
এ ব্যাপারে নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, সমাজের বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে এটা আমি মানিনা। একদল ভন্ড আমার পিছনে লেগেছে। বর্তমান ঈমামও একজন ভন্ড। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি অপমান করিনি।