বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় হেদায়েতপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছু দিন পর পরই অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল বাহিনী।
এই ২নং ওয়ার্ডে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আতঙ্কে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরপরই দেশের বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র লুটহয়। আর এসব অস্ত্র চলে যায় সন্ত্রাসীদের হাতে।
আর এসব অবৈধ অস্ত্রের কারনে বাড়ে অপরাধের প্রবণতা আরো জানা যায় এই আন্দিরপাড় এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক কেনাবেচাঁ, আধিপত্য বিস্তার করতে ব্যবহার করা হয় এসব অবৈধ অস্ত্র।
প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান না থাকায় সন্ত্রাসীরা দিন দিন আরো সাধারণ মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গোপন সূত্রে আরো জানা যায় যে, সোহেল মিয়ার বাড়িতে আওয়ামীলীগের এর ক্যাডার বাহিনীরা অস্ত্র-সস্ত্রসহ এবং হত্যা মামলার আসামিরা ও তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকে। উল্লেখ্য এর আগে এই ওয়ার্ডে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব ১০এর হাতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রেপ্তার হয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া।
তিনি বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম চেয়ারম্যানের ডান হাত। তার শেল্টারের কারণে মাদক ব্যবসা ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা করে আসছিলো দীর্ঘদিন যাবত।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি সহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। মামলা নং ২৪(০১)২১ ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৩৭৯/ ৫০৬,মামলা নং ৪১/৩০৪২০২১ সালের ১০ মার্চ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে,মামলা নং ০৪(০৬)২১ইং ধারা ১৪৩/ ১৪৮/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৪৩৬/ ৫০৬,মামলা নং-৭০ ২৭মে ২০১৮ ধারা ১৪৩/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩০৭/ ৫০৬,মামলা নং ২৪, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারী, ১৪৩/ ৩২৩/ ৩০৭/ ৩৫৪/ ৩৭৯/ ৪৩৬/ ৫০৬,ধারা মামলা নং ২৯ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে,মামলা নং ৪২,৩০ আগষ্ট ২০২২ ধারা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনে।
স্থানীয় থানা পুলিশ ম্যানেজ করে এসব অবৈধ কর্মকান্ড করায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না তাই এই ভয়ংকর সোহেল বাহিনীর ভয়াল পরিস্থিতি হতে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
একই সাথে এসব সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সকল অবৈধ অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছেন।