সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া মসজিদ রোড এলাকায় ড্রেজার পাইপ সড়িয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক প্রতিবাদকারীকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার দুপুরে ড্রেজার ব্যবসায়ী গোদনাইল ভূইয়া পাড়ার মৃত সিদ্দিক ভূইয়ার ছেলে দেলোয়ার ভূইয়া তার দলবল নিয়ে প্রতিবেশী প্রতিবাদকারী শরিফুজ্জামানের বাড়িতে ঢুকে তাকে এলোপাথারী মারধর করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্ঠা করে।
প্রাণভয়ে শরিফুজ্জামান ঘরের ভিতর চলে গেলে ভবিষ্যতে বাড়াবাড়ি করলে খুনের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল বাগপাড়া মসজিদ রোড এলাকায় ড্রেজার পাইপের কারনে ১৫ বছর ধরে দূর্ভোগে এলকাবাসী। ঘনবসতী এলকায় রাস্তার মধ্যদিয়ে ড্রেজার পাইপ বসানোর ফলে যাতায়ত করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারী, শিশু, বয়স্কসহ সাধারণ এলাকাবাসীকে। রাস্তার মাঝখানে পাইপ থাকায় দূর্ঘটনায় পড়ে রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলকারীরা।
গত বছর এক মা তার শিশুকে নিয়ে পাইপের উচু ডিভাইডার পার হতে গিয়ে রিকাশা থেকে ছিটকে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। পরে শিশুটিকে এলাকাবাসী মৃত উদ্ধার করে।
এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে। ড্রেজার ব্যবসায়ীরা সাবেক সংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্টজন হওয়ায় শিশু মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
ড্রেজার ব্যবসায়ী দেলোয়ার ভূইয়াকে বাগপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা শরিফুজ্জামান ড্রেজার পাইপ অন্যত্র সড়িয়ে নেবার অনুরোধ করলে শুক্রবার দুপুরে দলবল নিয়ে শরিফুজ্জামানের উপর আক্রমণ করে। তার বাড়ী ঘর ভাংচুর ও তাকে হত্যার চেষ্ঠা চালায়। এ ব্যাপারে গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জ শরিফুজ্জামান এক অভিযোগ দায়ের করা হয়।
থানার অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, শরিফুজ্জামানের বাড়ীর সামনে ড্রেজার পাইপ মাঝে মধ্যে লিকেজ হয়ে বালু বের হতে থাকে যাহার ফলে বাড়ীতে বালু যায়। পাইপের কারনে কোন রিক্সা মোটর ইত্যাদি রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না।
দেলোয়ার ভুইয়াকে পাইপটি সড়িয়ে নিতে বললে শুক্রবার অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় তৌহিদ ভূইয়া, মনির ভূইয়া, রিয়াজুল, ইরফান ভূইয়া, ইমন ভূঁইয়া মেজাবাহ ভূইয়া, মোঃ দিপু, আতিউর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শরীফুজ্জামানের বাড়ীতে ঢুকে তাকে মারপিট শুরু করে।
প্রাণ ভয়ে ঘরের ভিতরে চলে গেলে তার ঘর বাড়ি ভাংচুর করার চেষ্টা করে এবং তাকে ও তার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও খুনের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সোহাগ জানান, অভিযোগটির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।