আদালতের দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেওয়ার জের ধরে বাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে আসামিসহ ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে। ওই সময় হামলাকারীদের লোহার রডের আঘাতে আরো তিন জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- চাঁদাবাজি মামলার বাদী আমানউল্লাহ,( ৬৮) তার ছোট ভাই গোলজার প্রধান, (৫৫) ও ভাতিজা সোহাগ (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় অর্ধশত পরিবারের চলাচলের রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছিল। ওই সময় একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী প্রধানের ছেলে আসাদউল্লাহ ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরে গ্রামবাসীর পক্ষে আমানউল্লাহ বাদী হয়ে আসাদউল্লাহসহ ৫/৬ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৩৪০/২৪।
এ মামলায় গত এক সপ্তাহে পূর্বে আসাদউল্লাহ ও তার লোকজন জামিনে আসেন। পরে শনিবার দুপুরে আমানউল্লাহকে রাস্তায় একা পেয়ে পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে আসাদউল্লাহ, শাহ আলম, শাহীন ও তাওলাদ।
পরে আমানউল্লাহ মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করলে তার উপর উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আমানউল্লাহকে বাঁচাতে গোলজার ও সোহাগ নামে দুইজন এগিয়ে আসলে
তাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন আহত তিনজনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তিনজনের মধ্যে আমানউল্লাহর অবস্থা অবনতি দেখা দিলে তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে হস্তান্তর করেছে।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাস্থল থেকে এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা নিয়ে আপন ভাই আমানউল্লাহ ও আসাদউল্লাহ'র সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে নিজেদের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমা চলমান। হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।