নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

বন্দরে সরকারি হালট ও কৃষি জমি রক্ষার্থে কৃষকের মানববন্ধন 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:০৪, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বন্দরে সরকারি হালট ও কৃষি জমি রক্ষার্থে কৃষকের মানববন্ধন 

বন্দরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি হালট ভরাটসহ কৃষি ফসলি জমি নষ্টের প্রতিবাদে ও নব্য বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশিরের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভূক্তভোগী শতাধিক কৃষক।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সাবদীস্থ আইসতলা এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সাবদী এলাকার মৃত আমিন উদ্দিন মিয়ার ছেলে নব্য বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির ও তার ছোট ভাই জামানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উত্তর সাবদী এলাকাসহ গোটা কলাগাছিয়া ইউনিয়নবাসী।

আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে নব্য বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা এড: সাখাওয়াত হোসেন ও এড: আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নাম ভাঙ্গিয়ে গোটা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সে এখন গরীব কৃষকদের পাটে লাথি মারছে। তাদের দুই ভাইয়ের অত্যাচারে এলাকাবাসীসহ সাধারণ কৃষকরা চরম ভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, নব্য বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির ও তার ছোট ভাই জামানসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন ভূমি দৎসুরা উল্লেখিত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ ভাবে একাধিক ড্রেজার স্থাপন করে।

ড্রেজার নির্গত পানি কারনে আমাদের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে ড্রেজারের পানি থাকার  কারনে আমরা কোন প্রকার ফসল ফলাইতে পারছি না। ড্রেজারের পানির কারনে বহু কৃষক বেকারত্ব জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী সাধারন কৃষকগন।

উত্তর সাবদী এলাকার সমাজ সেবক ও কৃষি জমির মালিক সোরহাব সরকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উত্তর সাবদী পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী বোরহান উদ্দিন, ভুক্তভোগী কৃষক কুদ্দুস মিয়া, আলী হোসেন, শাহআলী, সাত্তার প্রমুখ। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল উপস্থিত ছিলেন,  কৃষক জাকির, ফরহাদ, মন্না, আলম, বিল্লাল, আনোয়ার, আলী হোসেন, সাঈদ, মোতালিব, মতি ও জারহানসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। ###