নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২১ নভেম্বর ২০২৪

আড়াইহাজারে আন্দোলন সংগ্রামে সরব ছাত্রদলের দুর্দিনের কান্ডারী মোবারক

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:১৪, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

আড়াইহাজারে আন্দোলন সংগ্রামে সরব ছাত্রদলের দুর্দিনের কান্ডারী মোবারক

পরীক্ষিত ছাত্রনেতা ছাত্রদলের দুর্দিনের কান্ডারী, আওয়ামী হামলা,মামলায় নির্যাতিত নেতা আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসাইন। আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রদলের মিটিং মিছিলে যার ভূমিকা ছিলো অগ্রগন্য। 

এছাড়াও হারানো ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বৈরশাসন থেকে দেশ মুক্ত আন্দোলনে রাজপথে হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তার হাত ধরেই আড়াইহাজার ছাত্রদল সকল প্রকার দলীয় কর্মকান্ড, আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছে সরব ও চলমান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের পরীক্ষিত একজন দক্ষ, কর্মীবান্ধব ও নির্বীক সৈনিক হয়ে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলকে আরও সুগংগঠিত করতে নিরলসভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছেন মোবারক হোসাইন। তিনি কোন দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। বিএনপি রাজনীতি ও শহীদ জিয়ার আদর্শ যার রক্তের প্রতিটি শিরায় বহমান।

জানাগেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) নজরুল ইসলাম আজাদের একজন বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে ছাত্রদলের রাজনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখছেন মোবারক হোসাইন।বর্তমানে যারা ছাত্রদলের বিভিন্ন পদ প্রত্যাশি তারা ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীও যখন ছিলেন না তখন মোবারক হোসাইন জেলা পর্যায়ে মিটিং মিছিল করেছেন। 

দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি। স্কুলে লেখাপড়ার সময়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। সম্পূর্ণ বিএনপি রাজনীতি পরিবারের সন্তান মোবারক হোসাইন। তার বাবা আবুল কাশেম আড়াইহাজার উপজেলাধীন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও আপন চাচা ছিলেন বিএনপির অকুতোভয় সৈনিক, জনপ্রিয় নেতা কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মরহুম আব্দুস সালাম। 

যিনি ছিলেন বিএনপির অগ্রজ সৈনিক। যাকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যায়নি। কোনা উপায়ন্তার না পেয়ে অবশেষে তাকে প্রতিহত করতে ২০১০সালে তাকে সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো। সেই চাচার স্মৃতি ও শোককে বুকে আকড়ে ধরেই রাজপথে সংগ্রাম করছেন মোবারক হোসাইন।

শুধু বাবা আর চাচা মরহুম আব্দুস সালাম নয়,বর্তমানে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আহমেদ মুছা ও আরেক চাচা আবু কালাম কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

মূলত পরিবার থেকেই মূলধারার নেতৃত্ব অর্জন করেন মোবারক। কোনো বাধাই তাকে পিছু হঠতে দেয়নি। সম্প্রতি ১৭ বছরেরর আওয়ামী স্বৈর শাসন হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপি লেবাসধারী বিধংসী আওয়ামী নেতাদের অনৈতিক ও অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিহত করতে গিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার শিকার হন মোবারক। তবুও তিনি দমে যাননি। দলকে সুসংগঠত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মোবারক।

আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের ইতিহাস কারো অজানা নয়। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি’র নেতা কর্মীরা আওয়ামী সন্ত্রাস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে অনেক সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়েছে। তবে  জেলার সব থেকে আড়াইহাজারের পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও আলাদা। কারন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার  আশীর্বাদ পুষ্ট আলোচিত সাবেক এমপি ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এই উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন। 

অথচ এই পাহাড়সম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে সামলে নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন একজন দক্ষ সংগঠক, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী আমলের শেষ ৯ বছর আড়াইহাজার  উপজেলা আওয়ামীলীগ ও নজরুল ইসলাম বাবু'র মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। যিনি দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হয়েছেন একাধিকবার হামলার শিকার ও বহু মামলার আসামি। আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার পরিবার। 

এদিকে আওয়ামী শাসনের অবসানের পরও এখনো থেমে নেই নজরুল ইসলাম বাবু'র দোসররা। তারা ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি’র ছায়াতলে ঠাই নিয়ে মোবারক'কে দমিয়ে রাখতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যদিও মোবারক  বলছেন, কোনো যড়যন্ত্রই তাকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা।

শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে নজরুল ইসলাম আজাদের দিকনির্দেশনায় দলের স্বার্থে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নজরুল ইসলাম আজাদের নির্দেশে শেষ অবধি শত শত কর্মী নিয়ে রাজপথে ছিলেন তিনি। 

স্বৈরাচার পতনের পর কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশ্যে তার প্রথম ঘোষণা ছিলো- ”আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ি। ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী যে দলের বা যে পরিচয়ের হোক না কেন তাদের সাথে কোন আপোষ নয়। এরা দেশ তথা সমাজের জন্য ক্ষতিকর ভাইরাস, তাদেরকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।

নজরুল ইসলাম আজাদের নির্দেশে আড়াইহাজারের সাধারণ জনগন ও ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে যে কোন অন্যায় অপশক্তি রুখে দিতে ছাত্রদল প্রস্তুত আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।