বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ জনতা ও ছাত্র হত্যার মামলায় আওয়মীলীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গেলেও কিছু সংক্ষক নেতাকর্মী এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রশাসনের গ্রেপ্তার কার্যক্রম না থাকায় এলাকায় এসব নেতাকর্মীরা পূর্বের মতই দাপটে চলাফেরা করছে এবং পূর্বের ন্যায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এমনই একজন হচ্ছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপু।
তিনি কদমতলী এলাকার শামসুল হকের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছে। এখনও তিনি কদমতলী এলাকায় নানা ধরণের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের অসাধু নেতা-কর্মীদের দুঃশাসন, নিপীড়ন আর নির্যাতনে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। দীর্ঘদিন পর মানুষ এখন সমবেত হয়ে কথা বলতে পারছে।
কদমতলী এলাকায় আওয়ামী লীগের দোসর মোশাররফ হোসেন দিপু আবার মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। সে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা জরুরী।
জানা গেছে, কদমতলী এলাকায় আল-আমিন নামে এক মুরগী ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন দিপুর কাছ থেকে ছয় লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করে একটি দোকান ভাড়া নেয়। দীর্ঘ বারো বছর আল-আমিন ঐ দোকানে তার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এক মাসের ভাড়া সময়মত পরিশোধ না করায় মোশাররফ হোসেন দিপু রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঐ মুরগী ব্যবসায়ীকে জোরপূর্বক দোকান থেকে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে ঐ মুরগী ব্যবসায়ী অগ্রিম বাবদ প্রদান করা ছয় লাখ টাকাও ফেরত দেয়নি দিপু।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল-আমিন জানায়, মোশাররফ হোসেন দিপু তার একটি দোকান আল-আমিনের কাছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন দিপুকে ঠিকমত ভাড়ার টাকা পরিশোধ করলেও মাত্র এক মাসের ভাড়া দিতে দেরি করায় সে আমাকে জোর করে দোকান থেকে বের করে দোকান তালাবদ্ধ করে দেয়।
তার রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় আমি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি। দোকান ভাড়ার বিপরীতে তাকে অগ্রিম বাবদ প্রদান করা ছয় লাখ টাকাও সে আমাকে ফেরত দেয়নি।