নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৪

বন্দরে অপহৃত যুবক উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ৫

নারায়ণগঞ্জ টাইম:

প্রকাশিত:১৯:০১, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বন্দরে অপহৃত যুবক উদ্ধার, নারীসহ গ্রেপ্তার ৫

নারায়ণগঞ্জে বন্দরে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী করা অপহরণকারী চক্রের নারী সহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় উদ্ধার করা হয় অপহৃত যুবক মো: রহিম (১৮) কে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ইউনুস আলী (৩৪), পিতা-মমসুর আলী, ২। মার্জিয়া বেগম (২৫), স্বামী-খদর আলী, পিত-মৃত শুকুর আলী, উভয় স্থায়ী সাং-উক্তিরপাড়, থানা-শান্তিগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জ, উভয় এ/পি-বাইতুন নুর জামে মসজিদের পূর্ব পাশে আলী আকবর এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, আনন্দনগর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৩। মোঃ হাসান (২২), পিতা-আনসু মিয়া, সাং-সরাইল, আনন্দনগর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৪। মোঃ নাজমুল (২৮), পিতা-আনজুম মিয়া, সাং-সরাইল, আনন্দনগর, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, ৫। মোঃ  জহিরুল ইসলাম (৩২), পিতা-মোঃ গোলাজার হোসেন, সাং-চাপাতলী, থানা-বন্দর, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে বন্দরের আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার মেজর মো অনাবিল ইমাম জানান, সুনামগঞ্জের ছাতক থানার জিয়াপুর গ্রামের মো: মইনুল করিমের ছোট ছেলে মো: রাহিম (১৮) আনুমানিক দুই মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে নারায়ণগঞ্জ আসে। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইউনুস আলী (৩৪) নামের একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তারা একত্রে কৃষি কাজ শুরু করেন। প্রায় দুই মাস কাজের মজুরির জমা করা টাকাগুলো মোঃ রাহিম নিজের কাছে রাখলে ইউনুস আলী সেই টাকা দাবি করে।  রাহিম টাকা দিতে না চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টায় রহিম তার জমানো টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। আধাঘন্টার পর রাত ১১টার দিকে ইউনুস আলী ও তার সহযোগিরা মদনপুর বাস্ট্যান্ড থেকে রহিমকে অপহরণ করে বন্দরের আনন্দনগর এলাকায় নিয়ে যায়। এবং তার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে আরও ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে। মুক্তিপণের টাকার জন্য ইউনুস আলী মোঃ রাহিমের  ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার বড় ভাই নাঈমকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আসতে বলে। মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ইউনুস গংরা  রাহিমকে এলোপাতারী চরথাপ্পড় ও কিলঘুষি মারে। এবং অপহরণকারীরা নাঈমকে ফোন দিয়ে তার ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে নাঈম সুনামগঞ্জ হতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রী করেন। এবং র‌্যাব-১১ বরাবর আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর রাতে র‌্যাব-১১’র একটি আভিযানিক দল বন্দরের আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের মূলহোতা ইউনুস আলীসহ চক্রের ৫ জন সদস্যদেরকে আটক করে।

পরে রহিমের বড় ভাই নাঈম বাদী হয়ে বন্দর থানায় আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

সম্পর্কিত বিষয়: