দীর্ঘদিন যাবত একাধিক ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জের আকাশ মোল্লা নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন।
অভিযুক্ত হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার মৃত বিল্লাল এর ছেলে আকাশ মোল্লা (৪০)। এছাড়াও এই সিন্ডিকেট চক্রে অধিক নারী ও পুরুষ সদস্য প্রতারক চক্র রয়েছে।
অভিযোগের বাদী সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার মৃত আবুল এর ছেলে ভুক্তভোগি মো: হাসানাত (৪১)। এছাড়াও তার সাথে আরো ভুক্তভোগি রয়েছেন তারা হলো বাচ্চু বেপারীর ছেলে আল আমিন(২৫) ও মো: সৈয়দ আলীর ছেলে মো: মামুন অর রশীদ (৩৯)।
থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ভুক্তভোগী মো: হাসানাত, আল আমিন ও মো: মামুন অর রশীদকে বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়া পাঠানোর কথা বলে তিন জনের কাছ থেকে অগ্রিম ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা নেয়।
বিবাদী আকাশ মোল্লা দীর্ঘদিন রাশিয়া থাকতো। আকাশ মোল্লা আমাদের প্রবিবেশী হওয়ায় আমাদেরকে বৈধ ভিসায় রাশিয়া নিয়ে যাবে বলে আমরা তার কথায় রাজি হয়ে আমরা তিন জন প্রত্যেকে ১০ লাখ টাকা করিয়া ৩০ লাখ টাকা চুক্তি করিয়া আমি মো, হাসানাত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫শ’ টাকা আমার সঙ্গীয় আল আমিন ৫২ হাজার ও মো. মামুন অর রশীদ ৯৯ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫শ’ টাকা জমা দেই।
আমাদের সাথে কথা থাকে ১ মাসের মধ্যে আমাদেরকে রাশিয়া নিয়া যাইবে এবং বাকী টাকা যাওয়ার পর দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বিবাদী আমাদের কোন প্রকার ভিসা প্রদান করেন নাই। এবং বিভিন্ন তালবাহানা করিতে থাকে একপর্যায়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে আত্বগোপন করেন।
এরই জের ধরিয় গত ২ অক্টোবর বিকাল অনুমান ৪ টায় আকাশ মোল্লার মোবাইল নম্বর ০১১৩---৯৭১ তে ফোন করে আমাদের ভিসা বা আমাদের টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি পূর্বের ন্যায় ভালবাহানা করিতে থাকে।
এতে আকাশ মোল্লা আমাদের পাওনা টাকা প্রতারনা মূলক আত্মসাৎ করে যেগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে এবিষয় কিছু না বলার জন্য হুমকি-ধমকি দেয়। উপরোক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়েজ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।