বন্দরে সংঘবদ্ধ এক ছিনতাইকারীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় ছিনতাইকারী আল আমিন (৩৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাপড়ের দোকানের ভুক্তভোগী এক কর্মচারির মামলায় ওই ছিনতাইকারীকে রোববার (২২ সেপ্টম্বর,) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এরআগে শনিবার রাতে বন্দর উপজেলার মহজমপুর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছিনতাইকারি আল আমিন মহজুমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাব্বির রহমান বলেন, গত শনিবার সকালে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন তার কাপড়ের দোকানের কর্মচারি লোকনাথ চন্দ্র দাসকে এক লাখ টাকা দিয়ে মালামাল আনতে নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা পাঠান। নিজ বাড়ি থেকে লোকনাথ টাকা নিয়ে আল আমিনের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আল আমিন ধারালো ছুরি (সুইচ গিয়ার) গলায় ঠেকিয়ে টাকা ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে এ ঘটনায় ওই কর্মচারি বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত ছিনতাইকারী আল আমিনের বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ছিনতাই, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি রাম দা, একটি সুইচ গিয়ার, একটি চাপাতি, তিনটি ছুরি, ২০ টি এসএস পাইপ ও কাঠের তৈরি লাঠি উদ্ধার করা হয়। রোববার সকালে তাকে নিয়মিত মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড মসজিদ থেকে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজ ও মহজমপুর গ্রামের রাস্তায় প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস শ্রমিক সহ বিভিন্ন পেশার নারী- পূরুষ চলাচলের সময়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে টাকা, মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার খুইয়েছন।
এছাড়াও লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম মিজানুর রহমান আল আমিনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডে তার পিতা রফিকুল ইসলাম নিজ বাড়ি ও এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে ভাড়ায় বসবাস করেন।