সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জিল্লুর রহমান (৩৫) নামে এক যুবককে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে রক্ষা করতে তার মামাতো ভাই নাহিদ (২৪) ও তার ভাগিনা জুবায়ের (২০) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
পরে জিল্লুর রহমানের সাথে থাকা ১০ হাজার ১শ; ২০ ও তার ব্যবহৃত ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাওয়াই মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত জিল্লুর রহমানকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে হামলাকারী ৯ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬-৭ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তারা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো রোড মুন্সিপাড়া এলাকার আলী মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৩), আমিনুল (৩৫), আলমগীর (৩০) ও আরিফ(২১), একই এলাকার তাঁতীলীগ নেতা গোলজার মিয়ার ছেলে মো: জয়নাল (৪৫) ও ইয়ার হোসেন (৪০), আনার মিয়ার ছেলে ইসমাইল (২৪), মৃত আছন আলীর ছেলে আনার মিয়া (৫০), আলী মিয়া (৫৫) ও গোলজার (৭০)।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে। এরআগে শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৫নং ওয়াডের্র সাইলো রোড মুন্সিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার বিকাল অনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো রোডস্থ মুন্সিপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী জিল্লুর রহমান তার মামাত ভাই নাহিদ’র পাঞ্জাবীর দোকানে যাওয়ার পথে তাকে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, ধারালো চাকু, এসএস পাইপ ও লোহার রড দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে। এসময় তাকে এলোপাথারী ভাবে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মারপিট করে আহত করে। মাথা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে।
মারপিটের এরপর্যায়ে ভুক্তভোগী জিল্লুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার সাথে থাকা ১০ হাজার ১শ; ২০ ও তার ব্যবহৃত ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাওয়াই মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় তার মামাতো ভাই নাহিদ ও ভাগিনা জুবায়ের তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকে বেধরক মারধর করে জখম করে।
একপর্য ায়ে সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমানের গলায় গামছা পেঁচিয়ে টানা হেঁচড়া করে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সাইলো গেইট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে সরদারপাড়া ঘাটে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎিসা করায়।