আজমেরী ওসমানের ক্যাডার, রাকিব হত্যা মামলার ৪৫ নং আসামী ও মাদক ডিলার আপেল বাহিনী শুরু করেছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। হীরা কমিনিউটি সেন্টার এলাকায় জেলা পরিষদ থেকে লীজকৃত ভুমিতে গড়ে উঠা দোকান থেকে ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তমিজউদ্দির খন্দকার ওরফে আপেল বাহিনীর সদস্য রুবায়েত, রুবু, ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জুলাই মাসের ভাড়া তুলে নেয়।
এ নিয়ে আওয়ামী ক্যাডার ও মাদক ব্যবসায়ী আপেল বাহিনীর সঙ্গে জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেয়া মালিক একাধিকবার বৈঠক করেন। তারা আপেলের কাছে জানতে চান তিনি কেন ভাড়াটিয়াদের ভয় দেখিয়ে ভাড়া এবং চাঁদা নিচ্ছেন? তার কাছে এ ভুমির লীজের কোন কাগজপত্র আছে কিনা। কিসের ভিত্তিতে তার বাহিনী চাঁদাবাজি শুরু করেছে। আজমেরী ওসমানের এই ক্যাডার কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টো ভুমির লীজকারীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে আপেল বাহিনী আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানের সঙ্গে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।
এ হামলায় রাকিব নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ওমিজউদ্দিন খন্দকার ওরফে আপেল মাহমুদকে ৪৫ নং আসামী করা হয়। ৭৩/১ দক্ষিন জামতলার অধিবাসী মৃত মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে আপেল। বিগত সরকারের আমলে আজমেরী ওসমানের আর্শিবাদে দক্ষিন জামতলা এলাকায় একটি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তুলে আপেল। রাকিব হত্যা মামলা ৬৭/১ দক্ষিন জামতলা এলাকার হাজী রিপনের ছেলে রাফিকেও ৫৩ নং আসামী করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে আপেল বাহিনীর আপেলের নেতৃত্বে রুবায়েত, রুবুসহ একদল সন্ত্রাসী ইতোমধ্যে বেশ কিছু লীজকৃত ভুমি দখল করে নিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। বিষয়টি একাধিকবার ফতুল্লা থানা পুলিশের সদ্য বিদায়ী ওসিকে জানানো হলেও তারা কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে প্রশাসনিক দূর্বলতায় এখন বোপরোয়া হয়ে উঠেছে আপেল বাহিনী। ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে নবাগত এসপির দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তারা এর প্রতিকার চান। চাঁদাবাজ আপেল ও তার বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছেন।