নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে দুই সন্তানের জননী গৃহবধু শাবনুরের উপর অমানুষিক নির্যাতের অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামী ফয়সাল (৩৫) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধু শাবনুর আদালতে মামলা করেও স্বামীর পাশবিক নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছে না বলে জানান।
নির্যাতনকারী ফয়সাল সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনী বড় লাইন পানি ট্যাংক এলাকার আসলাম ড্রাইভারের ছেলে। শাবনুর-ফয়সাল দম্পতির এক ছেলের বয়স (৫) ও এক মেয়ের বয়স (২)।
ভুক্তভোগী শাবনুর জানান, গত ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে মুসলিম রীতি অনুযায়ী আমাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই যৌতুকের জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানষিক ভাবে আমার স্বামী ফয়সাল, শ^শুর আলমাস ড্রাইভার, শ^াশুড়ি নুরজাহান, ননদ মুক্তা ও দেবর গালিব দিনের পর দিন নানা অযুহাতে নির্যাতন চালাতে থাকে।
তাদের দাবীকেৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আমার গর্ভের প্রথম সন্তান আমার শ^াশুড়ির নির্যাতনে মারা যায়। পরবর্তীতে আমার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে হয়। একজনের বয়স ৫ বছর এবং একজনের বয়স ২ বছর।
আমার স্বামী একজন জুয়াড়ী এবং মাদক সেবী। মাদক এবং জুয়াড় টাকার জন্য প্রায় সময় সে আমাকে মারধর করতো। আমার পরিবার গরীব তাই দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিরুপায় হয়ে অত্যাচার সহ্য করে এই পাষন্ড স্বামীর সংসার করছি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শাবনুর অত্যন্ত গরীব পরিবারের সন্তান। তার বাবা নেই। শাবনুরের দেবর গালিব শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী পানি আক্তারের সহযোগী। সে বিহারী কলোনী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে রাখতো। তাই ভয়ে এই পরিবারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।