নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

হত্যা মামলার আসামি হয়েও প্রকাশ্যে, অধরা 

আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজীব ও তার বাহিনী ফের বেপোরোয়া

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:৫১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজীব ও তার বাহিনী ফের বেপোরোয়া

নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ নেতা সজীবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের যেনো শেষ নেই। দল ক্ষমতায় থাকাবস্থায় আজমেরী ওসমানের নাম ব্যবহার করে বিসিক শাসনগাওসহ  নবীনগর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল যুবলীগ নেতা সজীব ও তার বাহিনী। 

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে হাসিনা সরকারের পতনের পর গা ঢাকা দিলেও ফের এলাকায় ফিরে এসেছে সজিব ও তার বাহিনীর অন্যতম সহযোগী মুন্নাসহ অন্যান্য সদস্যরা। এলাকায় ফিরেই মাদক, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক মানুষের জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে ফের বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। 

এদিকে ছাত্র আন্দোলনে পারভেজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত মামলায় সজিব ও মুন্না এজাহারভুক্ত আসামি হয়েও প্রকাশ্যে অপরাধ কর্মকান্ড চালানোর পর পুলিশের নিরব ভুমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনা হলেই আজমেরী ওসমানের নির্দেশনায় করা সব অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসবে।
জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর পতনের পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায় ওসমান পরিবারের সকল সদস্য। এরপর থেকে আজমেরী ওসমানের অনুসারীরাও এলাকা ছাড়ে।  এদিকে, আজমেরী ওসমান পালিয়ে যাওয়া মুখ খুলতে শুরু করেছে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষজন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দল ক্ষমতায় থাকা সময় আজমেরী ওসমানের নামে পুরো এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক, ঝুট সন্ত্রাস ও ভুমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বেড়াতো সজীব, মুন্না ও তার বাহিনী।  অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত চাঁদা নিতো সজিব। যারা এখন ক্ষোভে ফুসছে।
সম্প্রতি চর বক্তাবলীতে দেওয়ান স্টীল মিল দখলের চেষ্টা চালিয়েছে মুন্নাসহ অন্যান্যরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অবিযোগ দায়ের করেন ওই কারখানার স্বত্তাধিকারী ইমরান। 
এলাকাবাবাসীর দাবি সজীব, মুন্নাসহ এ বাহীনির সকলের কাছে অস্ত্র রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সকল অস্ত্র উদ্ধার করা হউক। নচেৎ এলাকা ফের অশান্ত হয়ে উঠবে। 
 

সম্পর্কিত বিষয়: