নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পরকীয়ার সন্দেহে রোকসানা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ সময় তাদের পাঁচ বছরের শিশু সন্তান জান্নাতকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী নুরুজ্জামান আনিছ পলাতক রয়েছেন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার তেতলাবো এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রোকসানা বেগম বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন তারিকাটা এলাকার শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে। স্বামী নুরুজ্জামান আনিছ বরিশাল সদর এলাকার বাসিন্দা। তারা রূপগঞ্জের তেতলাবো এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নুরুজ্জমান চাকরি করেন স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায়।
স্থানীয়রা জানান, ৯ বছর আগে বরিশাল সদর এলাকার নুরুজ্জামান আনিছের সঙ্গে বিয়ে হয় রোকসানার। তাদের উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তারা তেতলাবো এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নুরুজ্জমান স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত কিছুদিন ধরেই নুরুজ্জমান তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়া করার সন্দেহ করছিলেন।
এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জের ধরে শনিবার সকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রোকসানাকে হত্যা করে পালিয়ে যান নুরুজ্জামান। এ সময় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় পাঁচ বছরের শিশু জান্নাতকেও।
এদিকে হত্যার পর নুরুজ্জামান নিহতের ছোটভাই হাসানকে ফোন করে বলেন, তার বোন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে হাসানসহ আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের মেঝেতে রোকসানার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় গুরুতর জখম শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নুরুজ্জামান পলাতক রয়েছেন।
০৭-০৯-২০২৪