সিদ্ধিরগঞ্জে “বিএনপি নেতা আকবরের আগ্রাসী লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও” ব্যানারে মানববন্ধন চলাকালে হামলা চালিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীদের মারধর করেছে বিএনপি নেতা আকবর ও তার অনুসারিরা। হামলায় শ্রমিক নেতা আলমগীর হোসেন ও নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের মধ্যে আলমগীর হোসেন, জাকির, শান্তা বেগম, মিনারা খাতুন ও স্বপ্নার নাম জানা গেছে। তাদের মধ্যে আলমগীর ও জাকিরের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার ভিডিও ও তথ্যচিত্র সংগ্রহ করলে বিএনপি নেতা আকবর ও তার অনুসারিরা সাংবাদিকদের সাথে চরম অশোভন আচরণসহ তাদের লাহ্নিত করেন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে সেখানে ধারণকৃত তথ্যচিত্র মুছে ফেলেন। এমনকি এ ঘটনার সংবাদ না প্রকাশের জন্য হুমকি দেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টায় শিমরাইল মোড় মুক্তিস্বরণী এলাকায় সৌদি বাংলা শপিং মলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনের আগ্রাসী লুটপাটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও ব্যানারে মানববন্ধন করছিল ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন শেষ করে তারা সৌদি বাংলা শপিং মলের সামনে অবস্থান নেয়।
এসময় বিএনপি নেতা আকবর হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারী নারী-পুরুষের উপর হামলা চালায়।
হামলায় আহত আলমগীরের স্ত্রী আসমা বলেন, আমার স্বামী আলমগীর কোন রাজনীতি করেন না। তবু আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তার বিরুদ্ধে ১৭ টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা হয়। এসব মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজত বাস করেন তিনি। ছাত্র-জনতার গণভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বিএনপি নেতা আকবর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই সানারপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কিশোর ছায়েদুল নিহত হওয়ার ঘটনায় ১০০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় আমার স্বামী বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়ন শ্রমিক সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে আসামি করা হয়। এছাড়াও অন্য মামলায় নিরারাধ সুজন ও স্বপন ২ ভাইকে আসামি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আবকর আমার স্বামীসহ নিরপরাধ লোকদের মামলার আসামি করিয়ে আর্থিক ফাঁয়দা লুটার ফন্দি করেছে। জনপ্রতি আকবরকে ৫ লাখ টাকা করে দিলে মামলা থেকে নাম বাদ করিয়ে দেওয়ার কথা বলছে। তাই আকবরের অত্যাচার হয়রানীর প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করছিলাম। এসময় আকবর তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।
মানববন্ধনে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আকবর হোসেন বলেন, মামলা করছে নিহতের স্বজনরা। আমি কাউকে মামলার আসামি করিয়ে টাকা দাবি করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে সরাসরি আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার সাহস হয় কিকরে। যারা মানববন্ধন করেছে তারা আওয়ামী লীগের দালাল। তাই এদের নির্মূল করতে হবে।