পুলিশিং কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনে বন্দরে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের মাদকদ্রব্য বেঁচা কেনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি মাদক স্পটে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে পুলিশিং কার্যক্রম ভেঙ্গে পরার সুযোগে বন্দরে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
প্রতিরাতে বন্দরে মদনগঞ্জ শান্তিনগর, সৈয়াল বাড়ি ঘাট, পুনাইনগর কলোনী, মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, মাহমুদনগর, দড়ি সোনাকান্দা, সোনাকান্দা নোয়াদ্দা, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড, বন্দর রুপালী, সালেহনগর, শাহীমসজিদ, হাফেজীবাগ, নূরবাগ, চিতাশাল, স্বল্পের চক, একরামপুর সুইপার কলোনি, ইস্পাহানী, কাইতাখালী, দেউলী চৌরাপাড়া, লক্ষনখোলা, রামনগর, সোনাচড়া, মুরাদপুর, ফুলহর, লাঙ্গলবন্ধ, চিড়াইপাড়া, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ীসহ বন্দর উপজেলার প্রায় শতাধিক মাদক স্পটে জমে উঠেছে মাদকের হাট। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখিত মাদক স্পটে চলে মাদক বেঁচাকেনা।
মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সাথে আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অবনতি ঘটছে ।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব জানিয়েছে, বন্দরে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে উল্লেখিত এলাকার চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ীরা এক চাটিয়ে মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
পুলিশিং কার্যক্রম শিথিল থাকার কারনে প্রতিটি মাদকস্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য উল্লেখিত যৌথ বাহিনী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দরে সচেতন মহল।