নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ন ম ওলী উল্লাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে রোববার রাত ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে অটো রিকশায় করে তাকে অপহরণ করে বক্তাবলী এলাকায় নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। সেখানে প্রথমে ধর্মগঞ্জ ঘাটের সামনে সিপাইপাড়া আসিফ এর খালার বাড়িতে নিয়ে বেদম মারধর করে জোরপূর্বক রিজাইন লেটার নেয়। পরবর্তীতে বক্তাবলী মাদ্রাসায় এনে সারারাত নির্যাতন চালনোর অভিযোগ করেন তার পরিবার।
একই সময়ে তারা ওলী উল্লাহ পুত্র আবদুল্লাহ আল ফুয়াদকে বেদম মারধর করে। এব্যাপারে ফতুল্লা থানায় মোখতার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১৩জনের বিরুদ্ধে মামলা জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যক্ষ ওলী উল্লাহ পুত্র আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।
অধ্যক্ষ ওলী উল্লাহ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় , নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কার্যালয়ে রোববার বিকেলে ওলী উল্লাকে ডেকে নেন নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও। সেখান ওলী উল্লাহকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তিনি এতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে ইউএনও তার কার্যালয় থেকে চলে যায়।
এর কিছুক্ষন পরই মাগরিবের নামাজ পড়তে উপজেলা কার্যালয়ের মসজিদে যান অধ্যক্ষ ওলী উল্লাহ । নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর পরই তানভীর,এমরান, রাতুল, ইমন, ইসতি,মিলন,রফিক, তালহা, ফয়সাল,রায়হান, আসিফসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে ওলী উল্লাহকে অপহরন করে জোরপূর্বক একটি অটো রিকশায় তেলেন।
এসময় তার সাথে ছেলে ফুয়াদকেও অটো রিকশায় তুলে ধর্মগঞ্জ ঘাটে আসিফের খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওলী উল্লাহ উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। পরে তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয় তারা। সেখান থেকে দূর্বৃত্তরা ওলী উল্লাহ ও তার ছেলেকে বক্তাবলী মাদ্রাসায় নিয়ে কয়েক দফা নির্যাতন চালায়।
সেখানে নির্যাতনের কারনে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দূর্বৃত্তরা সেখানে আরেকটি অঙ্গীকার নামায় জোর পূর্বক স্বাক্ষক নেয়া চেষ্টা চালায়।
ফতুল্লা থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বক্তাবলী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ দখলের জন্য র্দীর্ঘ দিন চলে চেষ্টা চালিয়ে আসছেন মুফতি মোখতার হোসাইন। তার নির্দেশ ও সহযোগিতায় আসামী তানভীর সহ অন্যান্যরা অধ্যক্ষ ওলী উল্লাহকে সদর উপজেলা থেকে অপরহন করে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চলিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়।
এর আগেও একাধিক বার ওলী উল্লাহ তার প্রতি এধরনের ঘটনা ঘটার আশংকা করে বৃহস্পতিবার সদর ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।