নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে হৃদয় নিহতের ঘটনায় মজিবর ও ইয়াসিনসহ ১০ জনের নামে হত্যা মামলা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:২২, ২২ আগস্ট ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে হৃদয় নিহতের ঘটনায় মজিবর ও ইয়াসিনসহ ১০ জনের নামে হত্যা মামলা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের থাই গ্লাস মিস্ত্রি মো: হৃদয় (২৭) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্য মামলা করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী পাকা রাস্তার উপর সন্ত্রাসীদের গুলিতে থাই গ্লাস মিস্ত্রি হৃদয় নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ অগস্ট) মামলার বিষয়টি নিশ্চত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক। এরআগে গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহত হৃদয়ের মা মোসাঃ রিতা এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত হৃদয় সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার দুর্গাপুর গ্রামের মো. ছফেদ আলির ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং ২নং গলির জহুর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং পেশায় একজন থাই গ্লাস মিস্ত্রি ছিলেন।

এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরউদ্দিন মিয়া, নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, নারায়ণগঞ্জ  মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, আওয়ামীলীগ নেতা আবু বকর সিদ্দিক আবুল (ইয়াসিন মিয়ার ভাই), যুবলীগ নেতা টাইগার ফারুক, নতুন বাজার হাজী বাড়ির সেলিম মজুমদার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও প্যানেল মেয়র-২ কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শিব্বির আহমেদসহ আওয়ামীলীগের দুষ্কৃতিকারীরা অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে।

মামলায় নিহত হৃদয়ের মা মোসা. রিতা উল্লেখ করেন, গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালের সময় আওয়ামীলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে ১নং আসামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমানের হুকুমে ছাত্র জনতাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ও আক্রমন করার নির্দেশ প্রদান করিলে অন্যান্য সকল আসামীগন রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র জনতার উপর দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাথাড়ি গুলি করেন।

এসময় সন্ধ্যা সোয়া ৬ দিকে তার ছেলে হৃদয় প্রতিদিনের ন্যায় কাজে বাহির হইয়া ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকার সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে উপরোক্ত আসামীসহ আরো অজ্ঞাতনামা আওয়ামীলীগের দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া গুলিতে আমার ছেলে মো: হৃদয় কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পরে। তখন পথচারীরা তাঁর ছেলেকে চিটাগাং রোড সুগন্ধা হাসপাতালের সামনে রাস্তার উপর রেখে চলে যায়।

খবর পেয়ে তাঁর বোন শাহিদা বেগম সেখানে গিয়ে তাঁর ছেলে মো: হৃদয়কে পৌনে ৮ টায় আটি হাউজিং ২নং গলির ভাড়া বাসায় নিয়ে আসা হয়। তখন বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ৩নং আসামী নূরউদ্দিন মিয়া তাঁর ছেলের লাশ দাফনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। নিরুপায় ও ভয়ে আতংকিত হয়ে তাঁর ছেলের মৃতদেহ সিদিাধরগঞ্জপুল মিজমিজি পাইনাদী কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।