বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আড়াইহাজারে শফিকুল ইসলাম শফিক হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাতসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহত শফিকুলের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, আওয়ামী লীগের শাসনামলের অর্থ জোগানদাতা ফকির আক্তারুজ্জামান, ফকির কামরুজ্জামান, ফকির মাশরিকুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ফেনী পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আলা উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, আড়াইহাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সুন্দর আলী, বাকীর, আব্দুল হাই, শব্দর আলী, শামীম, জুলহাস, সেলিম, বাহাউদ্দিন, আনসার আলী, রিফাত, বিল্লাল, সাদু, সোহাগ, ইয়াসিন, তফজিরুল রানু, কুতুব উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মো. রফিক, জসিম মেম্বার, হাতেম, মনচুর আলী, লিয়াকত আলী, সাদত আলী, রুস্তম আলী, ফারুক ও মাহবুব।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট তার স্বামী, দেবর জাহাঙ্গির, ইয়াসিন, ভাসুর কবির হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। এরই জের ধরে পরে ওইদিন সন্ধ্যায় বালুয়াকান্দী গ্রামে ২৭নং আসামি আনসার আলীর বাড়ির সামনে ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র ২০নং থেকে ৪৫নং আসামিরা তার স্বামী, ভাসুর দেবরদের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
তার স্বামী তখন গালমন্দ করতে নিষেধ করায় আনসার আলীর হুকুমে ২৮নং বিবাদী রিফাতের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ৩২নং আসামি ইয়াসিন তার স্বামীর মুখে গামছা দ্বারা মুখ বেঁধে আওয়াজ বন্ধ করে সাধু এবং জমির মেম্বার ধারালো দা ও রামদা দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়।