কথায় আছে উপর দিয়ে ফিটফাট ভেতর দিয়ে সদরঘাট তেমন অবস্থা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের পাবলিক টয়লেটটি। বিগত উপজেলায় আগত সেবা নিতে আসা দর্শনার্থীদের ব্যবহারের জন্য ৫ বছর আগে নির্বাচন অফিসের পূর্ব পাশে প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করলেও মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে টয়লেটটি একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বাহিরের দেয়ালে ব্যবহৃত টাইলস বা যাবতীয় সরঞ্জামাদি কিছুটা ঠিক থাকলেও ভেতরের টয়লেটগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক। বেসিন থেকে শুরু করে বেসিন গ্লাস, কমোড, দরজা, সিটকিনি সবকিছু ভেঙ্গে নোংরা ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে টয়লেটটির এই অবস্থার কারণে সেটি ব্যবহারতো দূরের কথা সেটির পাশ দিয়ে চলাচল করাটা দুরুহ হয়ে পড়েছে। এক কথায় এটিকে এখন রোগ জীবানুর আখড়া বলা চলে। বিশাল পরিমাণ বাজেটে নির্মিত টয়লেটটি মাত্র অল্পদিনের ব্যবহারে ভগ্নদশার সৃষ্টি হওয়ায় জনমনে চরম ক্ষোভসহ নানা প্রশ্নের সঞ্চার করছে।
এ ব্যাপারে জনৈক সচেতন দর্শনার্থী বিল্লাল হোসেন জানান, উপজেলার পাবলিক টয়লেটটি খুব একটা ব্যবহার হয়না। আমরাতো প্রায়ই দ্বিতীয় তলার টয়লেট ব্যবহার করে থাকি। বেশির ভাগ লোকই অন্যান্য টয়লেট ব্যবহার করে থাকেন। হয়তোবা মসজিদে আগত কিছু মুসল্লী এটি ব্যবহার করে থাকেন।
অথচ অল্প কয়েক বছরে টয়লেটটির অবস্থা এমন হবে বিষয়টি অবাক করার মতো। অপরাপর দর্শনার্থী আবু বকর জানান,যতদূর জানি এই পাবলিক টয়লেটটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগ নির্মাণ করেছে। কিন্তু তারা তখন নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এটির দ্রুত ভগ্নদশার সৃষ্টি হয়েছে।
বাজেট অনুপাতে তাদের কাজের মান ভাল হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করা জরুরী। যার অধীনেই এই কাজটি হয়েছে তাকে আইনের আওতায় এনে কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ সংক্রান্তে বন্দর উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।