বন্দরে ইট ভাটা দখলের অভিযোগ উঠেছে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এমনকি মোটা অংকের অর্থ না দিলে ওই ইট ভাটার মালিককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে মাটি খেকো সিন্ডিকেটের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রবিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী।
এরআগে ৬ আগস্ট (সোমবার) বেলা ১১ টার দিকে বন্দর উপজেলার ফনকুন এলাকায় আলহাজ্ব চান মিয়ার ইটভাটায় তালা লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। একইসাথে মালিক পক্ষের শ্রমিক কর্মচারীদের বের করে দিয়ে সমস্ত হিসাবের ডকুমেন্ট পুরিয়ে দিয়েছে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা।
ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী আলহাজ্ব চান মিয়া জানান, গত ৫ বছর ধরে ডি,পেপার ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক দেলোয়ার চৌধুরীর ৬'শ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে এবং নিজের ক্রয়কৃত ২'শ শতাংশ জমির ওপর ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছেন।আগে থেকেই উপজেলার সবগুলো ইট ভাটা নিয়ন্ত্রণ করতেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন।
এর আগে স্থানীয় সাবেক এমপি সাহেবের আশীর্বাদে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ২ বার চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পরদিনই ৬ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মাকসুদ হোসেনের নির্দেশে তার সহযোগী সেক্রেটারি পরিচয়ে স্থানীয় সুমনের নেতৃত্বে আদমজীর ফাহিম, তার মামা লিটনসহ ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা তার ইট ভাটা দখল করে এবং লোকজনকে বেড় করে দিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়।
এসময় অফিসের ড্রয়ারে থাকা হিসাবের খাতা ও মুল্যবান ডকুমেন্ট পুরিয়ে দেয়।ভাটার মধ্যে ৭ লক্ষাধিক ইট ও কয়েক লাখ টাকার মাটি এবং মুল্যবান সরঞ্জামাদি আটক করে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে তিনি ইট ভাটায় গেলে সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে ও তার ছেলে ভাটার পরিচালক মোরশেদ আলম মিরাজকে বিভিন্ন হুমকি দেয়।বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে কুড়িপাড়াস্থ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের বাসভবনে গিয়ে এ ঘটনা জানান।
তিনি নুন্যতম সুরাহা না করে উল্টো তার পালিত সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি মূলক কথাবার্তা বলে।পরবর্তীতে উপায়ন্তর না পেয়ে রবিবার দুপুরে স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচার দাবী করেন তিনি।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেক্রেটারি সুমন বলেন, নিরাপত্তার জন্য অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজকে আর্মি ক্যাম্প থেকে আমাকে ফোন দেওয়ার পর তালা খুলে দিয়েছি।
এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইট ভাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের মধ্যে মীমাংসার জন্য বলেছি।ওনারা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আমার কাছে আসার জন্য উভয় পক্ষকে পরামর্শ দিয়েছি।