ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে কার্যত সরকার পরিচালনায় (ল এন্ড অর্ডার) অকার্যকর হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় বন্দরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের অনুপস্থিতিতে গত কয়েক দিনে ঘটে গিয়েছে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ নানা ঘটনা। গভীর রাতে ডাকাত আতঙ্কেও নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অনেকে।
রবিবার বিকাল থেকে বন্দরে বসবাসরত ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরন, সম্প্রতিক সময়ে বন্দরে বসবাসরত সংখ্যালঘু সম্প্রায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সচেতন হওয়া সহ নানা বিষয় উঠে আসে তাদের কার্যক্রমে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, বর্তমান সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনে এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ও তারা হামলার আশঙ্কা করছে। আমাদের উচিত তাদের পাশে দাড়ানো। ছাত্র, জনতা, ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সমাজ থেকে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মূলোৎপাটন করে দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়া তোলা।
তিনি আরো বলেন এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে তা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়া ও মূলধারার গনমাধ্যমের সংবাদ প্রতি গুরুত দেওয়া উচিত আমাদের।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের বর্তমান সময়ের কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। বন্দর থানা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাইদ মিয়া বলেন তরুনরাই পারবে এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। এই পর্যন্ত সবকিছু সুন্দর বলেই মনে হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে অন্যায় ও দুর্নীতিমুক্ত পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।