ফতুল্লা পিলকুনি এলাকায় বিএনপি-জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীদের নারকীয় তান্ডবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে রায়হান (২৫)। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে ৫ এবং ৬ আগস্টের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার পর পুরো পিলকুনি জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
৫ আগস্ট থেকে পিলকুনি এলাকায় বিএনপি-জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক হামলা অব্যাহত রয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পিলকুনির বাসিন্দারা।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পিলকুনি এলাকায় তান্ডব শুরু করে বিএনপি-জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীরা। জাতীয় পার্টির নেতা ইকবাল মোল্লা, বিএনপি নেতা তাহের মোল্লার নেতৃত্বে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেও বিএনপি-জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বেশ কিছু নিরিহ মানুষকে হত্যার চেষ্টা এবং বসতবাড়ীতে হামলা, লুটপাট করেছে।
হামলার শিকার শাকিল জানায়, আমরা কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জাতীয় পার্টি সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মোল্লা, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তাহের মোল্লা, থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব পান্না মোল্লার ক্যাডার ভাগ্নে সাইফুল, শ্যালক বাবু, ইয়াকুব মোল্লা, সিফাত মোল্লা, উজ্জল, শাকিল, কবির, মিনহাজ, হাফিজুর, বক্করসহ অজ্ঞাত ১০/১২জন মিলে পিলকুনি হিন্দুপাড়া এলাকায় আমাদের উপর হামলা চালায়।
এসময় ইলেক্ট্রনিক মিস্ত্রী রায়হান, নাদিম, আলী হাসান শুভ আহত হয়। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে রায়হানের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে, হামলার পর কবির নামের নামে এক সন্ত্রাসী আহতদের পরিবারকে হুমকী দিয়ে আসছে। এরপর থেকে আহতদের পরিবার আত্মগোপনে চলে যায়। এব্যাপারে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে পিলকুনি এলাকার বাসিন্দারা।