নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতলক্ষ্যায় রাতের অন্ধকারে চলছে বাল্কহেড, দুর্ঘটনার আশংকা

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:০০, ১০ আগস্ট ২০২৪

শীতলক্ষ্যায় রাতের অন্ধকারে চলছে বাল্কহেড, দুর্ঘটনার আশংকা

সন্ধ্যার পর চলাচল নিষিদ্ধ হলেও আইনের প্রতি বৃদ্ধাংঙ্গুলি দেখিয়ে বন্দরের শীতলক্ষ্যা নদীতে রাতের অন্ধকারে আবারও ভয়ংকরভাবে চলছে গুপ্ত ঘাতক খ্যাত বালুবাহী ট্রলার বা বাল্কহেড।

দুই বছর আগে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবিতে ৩০ জনের প্রাণহানীর পর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে নৌচলাচলের ওপর কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন।  

প্রশাসনের নজরদারী এবং জরিমানা আদায়ের ফলে কিছুদিন চলাচল সীমিত থাকলেও বিআইডব্লিউটিএ সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের শিথিলতার কারণে বর্তমানে নদীতে পুনরায়  বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে বালুরবাহী ট্রলার। চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ম কানুনের কোন তোয়াক্কা করছে না চালকসহ সংশ্লিষ্টরা। বাল্কহেডের বিশৃংখল চলাচলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নৌপথ।

জানাগেছে, বন্দরের বিভিন্ন খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হন প্রায় আড়াই লাখ যাত্রী।এর মধ্যে বন্দর খেয়াঘাট , নবীগঞ্জ গুদারাঘাট, মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাট ও চিত্তরঞ্জন খেয়াঘাট দিয়ে যাত্রী   চলাচল সবচেয়ে বেশী। এ সব ঘাট দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে গত ৭ বছরে ৭টি নৌ দূর্ঘটনায়  প্রাণ হারান শতাধিক যাত্রী।

এরপর বাল্কহেড চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শুধুমাত্র নজরদারীর অভাবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর বালুবাহী ট্রলার চলাচল করছে। এতে আবারও নৌ দূর্ঘটনা আশংকা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান ,বাল্কহেডগুলোতে থাকেনা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা , নেই সিগন্যাল লাইট বা শব্দ সংকেত। অন্ধকারে যেন গুপ্ত ঘাতকের ভুমিকায় অবর্তীর্ণ হয় ট্রলার গুলো। যমদূতের মত কেড়ে নেয় নিরীহ যাত্রীর প্রাণ। 

যাত্রীরা জানান, মেঘনা নদী থেকে বালু ভরাট করে কয়েক হাজার বাল্কহেড শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। ট্রলারগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে  বিশৃংখলভাবে প্রতিযোগিতামূলক আসা যাওয়া করে।

এলাকাবাসী জানান,  পরপর কয়েকটি দূর্ঘটনায় প্রাণহানির পর শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী ট্রলার চলাচলের উপর বিধি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। নিষিদ্ধ হয় সন্ধ্যার পর বালুর ট্রলার চলাচল। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের  বৈঠকেও সন্ধ্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী ট্রলার চলাচল না করার ঘোষণা দেয়া হয়।

সন্ধ্যার পর যাতে শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুর ট্রলার চলাচল করতে না পারে  এ জন্য সংশ্লিষ্টদের  কঠোর  নির্দেশ দেয়া হয়।নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর নদীতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ায় কমে আসে বাল্কহেডের দাপট।  কিন্তু কিছুদিন পর নজরদারী উঠে যাওয়ায় রাতে আবার চলতে শুরু করেছে বালুর ট্রলার। বর্তমানে নজরদারী নেই বললেই চলে। ফলে বালুর ট্রলারগুলো চলছে এখন ফ্রি স্টাইলে।