নিহত জিয়াউর রহমান
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ধারের টাকার জন্য হোশিয়ারী ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে হিজবুল (৩৮) নামে এক ব্যাক্তি। শুক্রবার (২ আগষ্ট) রাত ৯ টার দিকে সানারপাড় রহিম মার্কেট বটতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জিয়াউর রহমান শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বড়কান্দি গ্রামের মৃত আলী হোসেন হাওলাদারের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া এলাকার সবুজের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের পর অভিযুক্ত হিজবুল পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক তার নাম জানা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১২টা মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
হত্যাকান্ডের সময় জিয়াউর রহমানের সাথে থাকা রাজিব নামে একজন বলেন, সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি আসায় তারা কয়েকজন একসাথে বসে লুডু খেলছিলেন। এরমাঝে অভিযুক্ত হিজবুল এসে নিহত জিয়াউর রহমানের কাছে টাকা চায়। জিয়াউর রহমান টাকা দিবে বলে তাকে আশ^স্ত করেন। পরে সে তাদের সাথে চা-নাস্তা খেয়ে চলে যায়।
এর কিছু সময় পর হিজবুল আরেকজন লোক নিয়ে আসে। ওই লোক জিয়াউর রহমানকে বলেন আপনি তার টাকা ফেরৎ দিচ্ছেন না কেন। এ নিয়ে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে হিজবুল তার হাতে থাকা পলিথিনে মোড়ানো একটি চাপাটি বের করলে জিয়াউর দৌড় দেন। সেও পিছু ধাওয়া করে। এরই মধ্যে হিজবুলকে প্রতিহত করার আগেই সে জিয়াউর রহমানের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এক পর্যায়ে জিয়াউর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সবাই দিক বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। পরে জিয়াউরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে তাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, বিকেল থেকে কাদের নামে একজন ব্যক্তি জিয়াউর রহমানের সাথে ছিলেন। হত্যাকন্ডের পর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তিনি অভিযুক্ত হিজবুল ও নিহতের সাথে থাকা কাদেরের সম্বন্ধে কিছু জানেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কও সিদ্দিক বলেন, সম্ভবত লেনদেনের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাত সোয়া ১২ টা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে।