আড়াইহাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) শামসুুজ্জাহান কনককে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রধান করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনাটির আয়োজন করেন অফিসার্স ক্লাব। এতে সভাপতিত্বে করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ।
আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে এম আলোমগীর হোসেন, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সজল কুমার দাস, কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান ফারুকী, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মালিহা সুলতানা, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আঃ জাব্বার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মমতাজ বেগম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমা আক্তার, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সিফাদ আজাদ, প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহান শাহ ভুইয়া, তথ্যসেবা কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার প্রমুখ।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন শামসুজ্জাহান কনক আড়াইহাজার উপজেলায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করেছিলেন। যোগদান করেই সকলকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলেন তিনি। অফিসের আঙিনা থেকে দালালচক্র দূর হয়ে যায়।
কাগজপত্র ক্লিয়ার থাকলে নামজারীর বিষয় নিষ্পত্তি করে দিতেন। অফিসে বাইরের লোকের ভিড় কমান। তাছাড়া তিনি নিজেই ভুক্তভোগীদের কথা শুণতেন। মোটকথা আড়াইহাজার ভূমি অফিসে সেবার মান বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ তাঁর ভক্ত হয়ে যায়।
কাগজপত্র ক্লিয়ার না থাকলে তিনি কারো কথাই শুণতেন না। সে কারণে তিনি হয়তো কিছু প্রভাবশালী লোকের বিরাগভাজন হন। তবে জনগণের প্রিয়পাত্র হতে পেরেছিলেন।
শামসুজ্জাহান কনক কোন ঘাপলা পছন্দ করেন না। এ কথাটি আড়াইহাজারের টপ টু বটম সবাই জানতেন। অনেক প্রভাবশালী নেতারাও তাঁর কাছে গিয়ে অন্যায় আবদার করেননি কখনো।
কেউ এমনটা করলে তাকে মিষ্টিভাষায় ফিরিয়ে দিতেন এবং মগজ ধোলাই করে দিতে ছাড়তেন না। তাঁর বিভিন্ন কর্মকান্ড বিশেষ করে বাল্যবিবাহ বন্ধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করেও তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছেন।