নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রবাসীদের স্ত্রীদের টার্গেট করে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে অনৈতিক সম্পর্ক করে অর্থ আত্মসাৎ, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ উঠেছে গোলজার হোসেন নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গোলজার হোসেন উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের জিয়া নগর গ্রামের মৃত হাশেম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ইলিয়াস হোসেন নামের এক ভুক্তভোগী সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্র ইলিয়াস হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন। প্রবাসে থাকাকালীন সকল উপার্জিত প্রায় ৪০ লাখ টাকা আমার স্ত্রী রাবেয়া বেগমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছি। কিন্ত প্রবাস জীবন শেষ করে এসে কোন টাকাপয়সার হিসাব পাইনি।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার স্ত্রী গোলজারের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। তার পরামর্শক্রমেই সকল টাকা পয়সা সরিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলে। তাছাড়া ২৫ ভরি স্বর্ণও তারা নিজেদের মতো ভোগ করেছে। এমনকি আমার নামের জায়গা সম্পত্তিও আমার স্ত্রী রাবেয়া নানা কৌশলে নিজের নামে করে আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে।
এখন আমি পথের ফকির। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় রয়েছে। আমার স্ত্রী ও গোলজারের নিকট টাকা, স্বর্ণালংকারের হিসেব চাইলে গত কয়েকদিন পূর্বে গোলজার সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে আমার বসত বাড়িতে হামলা চালায়। কোনো কুলকিনারা না পেয়ে আমি গোলজার ও আমার স্ত্রী রাবেয়ার বিরুদ্ধে গত ৪-৫ দিন পূর্বে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ইউপি সদস্য হাজী আফজাল হোসেন বলেন, গোলজারের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত অনেক অভিযোগ পেয়েছি। গোলজারকে সীমা নামে এক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় এলাকাবাসী হাতেনাতে পাকড়াও করেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকবার সে নারীসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
অভিযুক্ত গোলজার হোসেন বলেন, এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি মেম্বার ইলেকশন করেছিলাম। সেজন্য আমার প্রতিপক্ষ এইসব বিষয় দিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে চাচ্ছে। আমি মাছ ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগের যদি কোনো প্রমাণ থাকে তাহলে প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিবে আমি তাই মাথা পেতে নিবো।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।