নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে জাতীয় শ্রমিকলীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিসের আসবাবপত্র ছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে। শনিবার(৬ জুলাই) সকাল ৭ টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাঁচপুর লিল্প অঞ্চল জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব বেহাকৈর এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৬) ও তার বোন বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী জহুরা বেগম (৪০) এর নেতৃত্বে কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকার মৃত নূরু মিয়ার ছেলে বাবুল (৪৫), আব্দুল হালিমের ছেলে রানা (৩০) ও নূর মোহাম্মদ (৪৫) এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জন সন্ত্রাসী সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাঁচপুর সাগর ফিলিং ষ্ট্রেশনের পূর্ব পাশে অবস্থিত কাঁচপুর লিল্প অঞ্চল জাতীয় শ্রমিকলীগ অফিসে হামলা চালায়।
আব্দুল মান্নান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে জিয়া ও তার বোন জহুরার নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ বাবুল কাঁচপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে। জুয়া, চাঁদাবাজিসহ তাদের এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। আমি তাদের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তারা আগে থেকেই আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। কিছু দিন আগে আমার অফিসের সামনে থেকে এক কিশোরকে অপহরণ করার অভিযোগে এ চক্রের ৪ সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
তাদেরকে গ্রেপ্তারে আমার সহযোগীতা থাকতে পারে এমন সন্দেহে এসব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা আমার উপর হামলা করার চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার সময় আমাকে অফিসে না পেয়ে তারা ব্যাপক বাঙচুর চালায়। অফিসে রাখা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও তারা ভাঙচুর করে। এঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৮-১০ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক মেহেদী খান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, কাঁচপুর একটি দলীয় অফিসে হামলার অভিযোগ হয়েছে। তার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।