নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

১৮ অক্টোবর ২০২৪

বন্দরে সন্ত্রাসী মনুর হত্যার প্রতিশোধের আগুনে ফুসছে স্বজনরা, আতংকে এলাকাবাসী 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২৩:১৪, ৩০ জুন ২০২৪

বন্দরে সন্ত্রাসী মনুর হত্যার প্রতিশোধের আগুনে ফুসছে স্বজনরা, আতংকে এলাকাবাসী 

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় গত ৭ জুন  মুরাদপুরে নিজ বাসায় খুন হন সন্ত্রাসী ও বহু মামলার আসামি অপরাধ জগতের ডন মনিরুজ্জামান মনু। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও নানান আইন বহির্ভূত অপরাধ কর্মকান্ডের কারণেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। 

নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন বলেন, একসময়কার সন্ত্রাসী এই মনু মুরাদপুরসহ আশেপাশের এলাকার নিরিহ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও নিরিহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিলো। তার ফলেই মনু হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।

এদিকে মনু হত্যার প্রতিশোধ নিতে ফুসে উঠছে তার স্ত্রী, বোন ও স্বজনরা। এতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের সূত্রধরে নিরিহদের হয়রানি ও নির্যাতন আতংক দিনাতিপাত করছে এলাকাবাসী।

নিহত মনুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে শুধুমাত্র বন্দর থানায়  ১৩টি মামলা রয়েছে। ১। মামলা নং-১৫(৩)০১, ২। মামলা নং-১৬ (৩) ০১, ৩। মামলা নং- ১০ (৫) ০১, ৪। মামলা নং-১৫ (৩) ৯৮, ৫। মামলা নং-১৪ (৩) ৯৮, ৬। মামলা নং-১৪ (১০) ৯৫, ৭। মামলা নং- ৩ (৪) ২০১, ৮। মামলা নং-৪(৪)০১, ৯। মামলা নং-১৯(৫) ০৩, ১০। মামলা নং-৫ (৮) ০৩, ১১।  মামলা নং -৩ (৮) ০৩, ১২। মামলা নং-৮ (৯)০৭, ১৩। মামলা নং-২১(৪) ০৪। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে আরো ৩০টির অধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে।

এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান কামুর স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও হত্যাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আবুল পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। সন্ত্রাসী মনুকেও প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে পিটিয়ে মারধর করে শুরুতর আহত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাসী মনুর বোন বাবুর স্ত্রী মাদক সম্রাজ্ঞী শাহিনা এবং সন্ত্রাসী নিহত মনুর স্ত্রী সাবিনা স্বামীর পালিত সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে এলাকায় আবারও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্বামী হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করার চেষ্টা করছে নিহত মনুর স্ত্রী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসির কাছে স্থানীয়দের দাবি মনু হত্যাকান্ডে দায়েরকৃত মামলায় যাতে নিরিহ সাধারণ কোনো মানুষকে হয়রানি না করা হয়। পাশাপাশি নিহত মনুর স্ত্রী ও স্বজনরা যাতে কাউকে হয়রানি বা নির্যাতন না করতে পারে সে জন্য বিশেষ নজরদারিসহ এলাকায় টহল পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হউক।