নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রুবেল (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান (৪৫) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুবেল খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরআগে বিকেলে নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলী নতুন আইল পাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহাকারি উপ পরিদর্শক (এএসআই) কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত রুবেল ওই এলাকার মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত মিজান একই এলাকার বাসিন্দা।
আহত রুবেল জানান, মিজান একটি প্রাইভেট কারে আমার বাসার সামনে দিয়ে যাবার সময় তিনি তার গাড়িটি আমার দোকানের সাটারের সাথে লাগিয়ে ক্ষতি সাধন করে। আমি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত ও রাগান্বিত হয়ে গাড়িতে থাকা লোহার রড় নিয়ে নেমে এসে আমাকে গালাগালি করতে থাকে এবং বলে রাস্তার পাশে থাকলে এমন হবেই।
আমি এর প্রতিউত্তর দিতে গেলেই তার হাতে থাকা রড দিয়ে আমাকে আঘাত করে এবং বলতে থাকে তোর কোন বাপ আছে আসতে বল, আজ তোকে মেরেই ফেলবো। মিজানের রডের বাড়ির আঘাতে আমার বাম হাতে, আঙ্গুল ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়।
এ সময় আমার ডাক চিৎকাওে বাসর লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে মিজান ও তার সাথে থাকা অজ্ঞাত এক ছেলে ও তার স্ত্রী গাড়ীতে উঠে দ্রুত চলে যায়। পরে আমার পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর আগে মিজানের পরিবার এখানে বসতি শুরু করে। তার পিতা একজন ভালো মানুষ ছিলেন কিন্তু মিজান তার পিতার কোন আদর্শ পায়নি। বরং মিজান উল্টো বদমেজাজি চরিত্রের লোভী একজন মানুষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এ পর্যন্ত এলাকার অনেক সাধারণ ও নিরীহ মানুষকে সে মারধর করেছে। শুধু তাই নয় তার হাতে নির্যাতিত হয়েছে মসজিদের মুসল্লীও। তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ।
এলাকার লোকজন ও ভুক্তভোগীর দাবী অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দ্রুত মামলা দায়ের করে তাকে আইনী ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
অপরদিকে মিজানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি গাড়িতে বাড়ি পথে আসার সময় অসাবধান বসত গাড়ি দোকানের সাটারে লাগে। গাড়ি লাগার শব্দ শুনে রুবেল ও তার ভাই লাঠি নিয়ে আমাকে মারতে আসে। তাদের লাঠির আঘাত আমার স্ত্রীর শরীরে ও আমার উপর পড়লে আমি সেই লাঠি কেড়ে নিয়ে তাদের উপর মারতে থাকি।
আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি গাড়ির রোড পারমিট দেই রোড়ে গাড়ি চলতে গেলে কিছুর সাথে লাগলে সমস্যা নেই। আমিও থানায় অভিযোগ করেছি। দেখি কার ক্ষমতা কতটুকু।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই কামাল বলেন, অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।