রূপগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নুর আলম (২৬) নামে এক যুবককে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বাড়িঘর ভাংচুর কওে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা লুটের ঘটনায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রুবেল বাহিনীর ১৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুরুতর আহত নুর আলমের ভাই শাহীন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো- শাহিন ওরফে ডিশ শাহিন (৩০), মো. রকি খান (৩০), মো. রুবেল ভূইয়া (৩৫), মো. শ্রাবন ওরফে কুত্তা শ্রাবন (২০), মো. মেহেদী ওরফে চুরা মেহেদী (২৪), মো. শান্ত (২৪), মো. কাজল (২৫), মো. হৃদয় (২২), মো. মারুফ (১৯), মো. বাধন মিয়া (২২), মো. জাকির (৩৫), মো. সাহেদ (২৩), মো. হাসান (১৯), মো. নিরব (২০), ১৫ মোসাঃ সাথি আক্তার (২৮)।
গত সোমবার এ হামলার ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে শের আলী নামে একজনকে এ থটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শের আলী উপজেলার তারাবো গাবরপাড়া এলাকার জহির উদ্দিনের ছেলে।
রুবেল বাহিনীর হাতে আহত নুর আলম টাটকি খালপাড় এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তার বড় ভাই শাহিন ও স্বজনরা জানায়, বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইওসিতে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মামলা সূত্রমতে, গত সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টার দিকে এজাহারভুক্ত আসামীরাসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী প্রকৃতির অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১৫ জন ধারালো রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার চাকু, ছড়া, ছেনদা, এসএস স্টিলের পাইপ, লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে বাদি শাহিনের বসত বাড়িতে গিয়ে বাড়ির দরজা, জানালা, গেটসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও কোপাইতে থাকে।
এ সময় শাহিনের ছোট ভাই মো. নুর আলম (২৪) ঘর হইতে বের হয়ে বাধা দিলে তার বুকে হাতে মাথা পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে আহত করে।
এ সময় ছেলের চিৎকার শুনে মা মোসাঃ কলেমান নেছা (৬০) এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে আহত করে এবং চুলের মুঠি ধরে টানা হেচড়া করে শ্রীলতাহানি ঘটায়।
এসময় তার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে ঘরে ঢুকে স্টীলের সোকেচের ড্রয়ার খুলে বাবসার নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও ২ ভরি ওজনের স্বর্নারংকার লুট করে নিয়ে যায়।
তাদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে সন্ত্রাসীরা তাহাদের সাথে বেশি বাড়াবাড়ি এ ঘটনায় কোন মামলা করিলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রুবেল একসময় বিএনপি করতো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মিশে যায় আওয়ামীলীগে। পরে সে অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী রকি খান, আকবর বাদশাকে সাথে নিয়ে বিশাল বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর পরিচালনাসহ বীর দর্পে কায়েম করে ত্রাসের রাজত্ব।
রুবেল অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১’র হাতেও গ্রেপ্তার হয়েছিলো। বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে দেড় ডজনেরও বেশী মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় সন্দিগ্ধ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অবাহত রয়েছে।