নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামী মো. কামাল উদ্দিন (৩৭) এর বিশেষ অঙ্গ কাটার অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুন) ঞ্জর হিরাঝিল আবাসিক এলাকার ৪নং রোডে মো. কামাল হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয়তলায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আটক নাজমা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী সদরের বদরপুরে। তার পিতার নাম রুস্তুম খন্দকার। নাজমা আদমজী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরী করেন।
স্বামী কামাল উদ্দিন নোয়াখালীর জেলার কবির হাটের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের নুর জামালের ছেলে। সে পেশায় স্যানিটারি মিস্ত্রি। তার গ্রামের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী ও ৩ টি সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ বিরোধ চলছিল। শনিবার দুপুরেও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ বিরোধের এক পর্যায়ে ঝগড়াঝাটি হয়। পরে স্বামী মো. কামাল উদ্দিন দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান।
এই সুযোগে স্ত্রী নাজমা বেগম ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করেন। কামাল উদ্দিনের ডাকচিৎকারের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে ভর্তি করান।
বাড়ির লোকজন ওই নারীকে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশে খবর দিলে থানার এসআই এনামুল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়েগেছেন।
আটককৃত দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, আমি এবং কামাল উদ্দিন আয়েশা গার্মেন্টে চাকুরী করার সময় সে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে আমাকে গত ৩ বছর পূর্বে বিয়ে করে।
বিয়ে করার পর থেকে স্বামী কামাল অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পড়ে এবং প্রায়ই অতেুক ঘরের মধ্যে জগড়াঝাটি করতো যার কারণে সে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, অভিযুক্ত ওই নারীকে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে এবং তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।