ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জর রূপগঞ্জ অংশে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নেই কোন যানজট। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ বেশ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে বিকালের পরে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরেও মহাসড়কের আদুরিয়া থেকে কাচপুর পর্যন্ত যান যানবাহন চলাচলে স্বাভাবিক চিত্র দেখা গেছে। কোথাও কোন যানজট দেখা যায়নি। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেড়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কে কোন থ্রি হুইলার উঠতে না দেয়া, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাস স্ট্যান্ডের যানবাহন সড়ক দখল করে রাখা রোধ ও কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে, সেই যানবাহনগুলো অপসারণের জন্য রেকার প্রস্তুত করে রাখা সহ নানা সমস্যা সমাধানে ডিভাইডার দিয়ে পৃথক পৃথক লেন করা হয়েছে।
এ ছাড়া যেসব স্থানে যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এতে যানজট অনেকাংশে কমে গেছে।
মহাসড়কের তারাবো বিশ্ব রোড এলাকায় কথা হয় বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরগঞ্জের যাত্রী আমিনুলের সাথে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আসতে কোনও সমস্যা হয়নি। সড়ক প্রায় ফাঁকা বলা চলে। এতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পেরেছি। এখান থেকে বাসে করে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবো। আশা করছি, বাকিটা পথ স্বস্তির হবে।
স্টাফ কোয়ার্টার থেকে ভুলতা গাউছিয়া চলাচলকারী লেগুনা ড্রাইভার জাকির হোসেন বলেন, মহাসড়কে কোনও যানজট নেই। আজ গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়নি। যানজটের ভোগান্তি নেই।
নরসিংদী গামী মেঘালয় পরিবহনের যাত্রী বাসের ইসকান্দার মিয়া বলেন, মহাসড়কের কোনও পয়েন্টে যানজট চোখে পড়েনি। এক টানে কাচপুর থেকে গাউছিয়া চলে এসেছি। প্রতিদিন এমন সড়ক থাকলে ভালো হতো। তবে এখনো ঈদের আরও একদিন বাকি রয়েছে যানজট লাগে কিনা বলা যাচ্ছে না।
হাইওয়ে পুলিশের টিআই আশরাফ বলেন, এবার আশা করছি ঈদ যাত্রা স্বস্তির হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। যানজট সৃষ্টিকারী স্পট গুলোতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি রয়েছে।
তবে বিকেলের দিকে যানবাহনের চাপ আরও বাড়তে পারে। ঘরমুখু মানুষের ঈদ যাত্রা স্বস্থির করতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।