সোনারগাঁয়ের শম্ভাপুরা ইউনিয়নের চর কিশোরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাট জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালিয়েছে নাসির মেম্বারের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার রাসেল।
এসময় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে গুরুতর আহত করেছে তারা। আহতরা হলেন, হাটের ইজারাদার জুবের আলম খোকনের চাচাতো ভাই ইব্রাহিম, ফারুক, শফি মাতবর, জালাল মাদবর।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত ইব্রাহিম ও ফারুককে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে এবং শফির মাতবরকে চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। অন্য আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ইব্রাহিম সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরআগে বুধবার সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে চর কিশোরগঞ্জ মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী গরুর হাটের ইজারাদার পায় মো. জুবের আলম।
বুধবার সকালে সেখানে বাঁশ পুততে গেলে নাসির মেম্বারের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার রাসেলের বিরুদ্ধে নেতৃত্বে শাহ আলী, সোহেল, আসাদ, আফসার, আহসান আলী, মহিউদ্দিনসহ ১০ থেকে ১২জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো রামদা, ছেনদা, চাপাতি, ছোরা, লোহার রড, হাতুড়ি, এসএস পাইপসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে জুবের আলম খোকনের তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় ।
এসময়ে জুবের আলম খোকনকে বাঁচাতে তার চাচাতো ভাই ইব্রাহিম এগিয়ে আসলে তাকে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুত্বতর জখম করে। আর ইব্রাহিমের ডাক চিৎকারে ফারুক, শফি মাতবর, জালাল মাদবর এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটাইয়া হাতে পায়ে, পেটে, পিঠে মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এতে শফি মাদবরের ডান হাতের হাড় ভাঙ্গে যায়। এবং তারা হাটের বাঁশ পালা উপরিয়ে ফেলে দেয়।
একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইব্রাহিম ও ফারুককে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং শফির মাতবরকে চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতলে ভর্তি করে। অন্য আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এবিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।