নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৩ নভেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে কোরবানীর হাট মাতাবে বাদশাহ

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৮:১৯, ৭ জুন ২০২৪

রূপগঞ্জে কোরবানীর হাট মাতাবে বাদশাহ

ঈদুল আজহার অল্প কিছুদিন বাকি।  এরই মধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গরুর খামারীরা। দেখা মিলছে বড় বড় গরুর। এরইমধ্যে ২৫ মন ওজনের হলেসটান ফ্রিজিয়ান জাতের বাদশাহ নামের গরুর দাম হাঁকাহচ্ছে ১০ লাখ টাকা।

এবার কোরবানির হাট মাতাবে বাদশাহ। বিশাল আকৃতির এই গরুটি এবার ঈদে কোরবানির হাট কাঁপাবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে রূপগঞ্জে সাপ্তাহিক হাট ছাড়া এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে পশুর হাট না বসলেও ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে বাদশা নামক বিদেশি হলেসটেন ফ্রিজিয়ান জাতের ২৫ মন ওজনের এই গরুটি। এরই মধ্যে ক্রেতারা স্থানীয় প্রচলিত হাট, কৃষক পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত পশু, ও ছোট-বড় বিবিন্ন খামারে পছন্দের কোরবানীর পশু কিনতে ভিড় করছেন। 

এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পশুর মালিক ও খামারীরা লালন-পালন করা গরুগুলো বিভিন্ন নামে নামকরণ করছেন। বিশালদেহী বাদশা নামের গরুটি এ তালিকায় অন্যতম। আকারে বিশাল হলেও স্বভাবে খুবই ধীরস্থির। দীর্ঘ পরিচর্যার পর আকর্ষণীয় এ কোরবানীর পশুটি এখন বিক্রির উপযোগী হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৫৫৪টি ছোট-বড় খামারে ১৫ হাজার ৮৮৭টি পশু প্রস্তুত রয়েছে।যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৪০০ টি পশু বেশি রয়েছে। স্থানীয় চাহিদার অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত থাকলেও কোরবানীর হাট কাপানোর মতো গরুর সংখ্যা খুবই কম।সেরাদের মধ্যে অন্যতম হলো বাদশা ।এটিকে প্রস্তুত করেছে উপজেলার ভুলতা এলাকার গাউছিয়া ডেইরি ফার্ম। 

আকর্ষণীয় এই গরুটি দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। বাদশাকে দেখতে খামারে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ। বিশালাকারের গরুটি দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসছেন তারা। গরুটির সঙ্গে অনেকেই ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে। আবার কেউ কেউ এগুলো ফেসবুকেও পোষ্ট করছেন। 

গাউছিয়া ডেইরিতে গিয়ে দেখা গেছে, রাজকীয় ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বাদশা।গাঢ় সাদা রংয়ের, যেমন গঠন, তেমনই স্বাস্থ্য। তবে চুপচাপ শান্ত স্বভাবের। সাড়ে ৩ বছরের বিদেশি হলেসটেন ফ্রিজিয়ান জাতের ২৫ মণ ওজনের গরুর নাম রাখা হয়েছে বাদশা। 

গরুটি প্রায় ৮ফুট লম্বা উচ্চতা রয়েছে ৫ ফুট। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গরু দুটির খাদ্য তালিকায় থাকে গমের ভুসি, ধানের খড়, ছোলা ভাঙা, ভুট্টা ভাঙা,সয়াবিন খৈল আর কাঁচাঘাস। প্রতিদিন গরুটি ৭০০টাকার খাবার খায়। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্রেতা ও ব্যাপারীরা সাড়ে ৬লাখ থেকে ৭ লাখ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছেন।

গাউছিয়া ডেইরির ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, এবারের ঈদে কোরবানির জন্য বিক্রি করতে ৬০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্য বাদশা সবচেয়ে আকর্ষনীয়। বাদশাকে অনেকে দেখছেন দামও বলছেন তবে সরাসরি খামার থেকে যদি কেউ কেনে তাহলে বিক্রি করব।

নইলে উপজেলার পশুর হাটের উঠাব। তবে আমরা ৯ থেকে ১০ লাখ টাকার ভেতর গরুটি বিক্রি করতে চাচ্ছি। কারণ গরুটি লালন-পালন করতে আমাদের বেশ খরচ হয়েছে।

গরুটির এমন নামকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল রানা জানান, আমাদের ফার্মের হলেসটেন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির ছোট বেলা থেকেই বাদশার মতো ভাব ছিল। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গাউছিয়া কর্পোরেশনের মালিক দিপু ভুইয়া সাহেব আদর করেই তার নাম রাখেন বাদশা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. রিগান মোল্লা বলেন, উপজেলায় চাহিদার তুলনায় খামারী পর্যায়ে অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। ফিজিয়ান জাতের গরু পালনে বেশির ভাগ মানুষ আগ্রহী নয়। তবে গাউছিয়া ডেইরি এই জাতের গরু পালন করে সফল হয়েছেন।

ঈদুল আযহায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা প্রতিটি পশুর খামারে প্রাকৃতিক গো খাদ্যের মাধ্যমে মোটাতাজা নিশ্চিত করণসহ খামারিদেরকে প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে বছরজুড়ে নানাভাবে সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।