রূপগঞ্জ উপজেলা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনার পর থেকেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিবাহিত, মাদক সেবনকারী, বিএনপির কর্মীসহ বিতর্কিতদের নিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে বিতর্কিতদের নিয়ে কমিটি গঠন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। একই সাথে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠনের দাবী উঠেছে।
জানাগেছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
কমিটি ঘোষনার পর পরই শীর্ষ পদে নেতাদের বিয়ে, মাদক সেবন, বিএনপির মিছিলে অংশ নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও বিব্রবতকর পরিস্থিতিতে রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, রূপগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি তানজির হাসান খাঁন বিবাহিত। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারী রূপসী সুইসগেট স্কয়ার হাসপাতালে তিনি সন্তানের বাবা হয়েছেন। সন্তান-স্ত্রীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়াও সহ-সভাপতি ইমন, সৈয়দ আলিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তপু, আরিফুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক সমিক আহম্মেদ ফাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এহসান খান, সদস্য আরিফ খান জয়সহ আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভূইয়ার মাদক সেবনের ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ মোল্লার বিএনপির মিছিলে অংশ নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী প্রভাব খাঁটিয়ে অছাত্র ও বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন। অথচ যারা লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজনীতি করেন তাদেও ছাত্রলীগের কমিটিতে সুযোগ দেয়া হয়নি।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ জানান, কমিটি দেয়ার সময় প্রয়োজন মত আমরা যাচাই বাছাই করি। তারপরও কমিটি ঘোষনার পর আমরা অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।