নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিডি ক্লিনের নারী সদস্যদের ইভটিজিং করেছে ২০-২৫জনের একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী।
এতে তাদের সঙ্গে থাকা পুরুষ সদস্যরা প্রতিবাদ করলে রাহুল (১৭) নামে এক কিশোর গ্যাংয়ের লিডারের নেতৃত্বে বিডি ক্লিনের সদস্যদের উপর দুই দফা হামলা চালানো হয়।
এসময় এক নারী সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে শ্লীলতাহানী করে। হামলায় বিডি ক্লিনের সদস্য হাসিবুল ইসলাম (২০) ওই নারী সদস্য (২৩) গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ বিডি ক্লিনের সমন্বয়ক কামরুজ্জামান রানা বাদি হয়ে আল আমিন, সৌরভ, রাহুল, তামিম, সিজান, প্রহর বর্মণ, রাসেলসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ মামলার সূত্র ধরে রাতেই হামলাকারীদের মধ্যে সৌরভ (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার (২৫ মে) আদালতে পাঠিয়েছে। এরআগে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ট্রলার ঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ বিডি ক্লিনের সমন্বয়ক কামরুজ্জামান রানা জানান, প্রতি শুক্রবারের মতই বিডি ক্লিনের সদস্যরা সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ট্রলার দিয়ে নুনেনটেক (মায়াদ্বীপ) গিয়ে পরিষ্কার করেতে যায়।
পরে ফিরে আসার সময় সন্ধ্যার আগে বৈদ্যেরবাজার ট্রলার থেকে ঘাটে নেমে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে বিডি ক্লিনের লগো সম্বলিত টি শার্ট পরিহিত সদস্যরা।
এদিকে আল আমিন (১৯) নামে এক যুবক প্রথমে নারী সদস্যদের ইভটিজিং ও বিভিন্নভাবে তাদের উত্যক্ত শুরু করে। এ সময় বিডি ক্লিনের পুরুষ সদস্যরা এর প্রতিবাদ করলে, কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাহুলের নেতৃত্বে ২৫-৩০জন সন্ত্রাসী এসে তাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় নারী সদস্য পিটিয়ে আহত করে শ্লীলতাহানী করে এবং হাসিবুল ইসলাম এগিয়ে তাকেও পিটিয়ে মারাত্মভাবে আহত করে।
সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার পঙ্কজ কুমার বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। রাতেই হামলাকারীদের মধ্যে সৌরভ (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ইভটিজিং ও হামলার ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এদের আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।
