নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সতের বছরের এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৭ মে) সকালে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে আড়াইহাজার পৌরসভার চামুরকান্দি এলাকায় অজ্ঞাত ৫/৬জন যুবক ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তরুণীর হাত পা বেঁধে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
জানাগেছে, তরুণীর পরিবারটি মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মেঘনায় বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় ৪ মাসে আগে আড়াইহাজারের চামুরকান্দি এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করছিল ।
ঘটনার দিন রাত অনুমান আড়াইটার দিকে তরুনীসহ তার মা ঘুমন্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন লোক দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেশী অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই তরুনীকে মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
পরে তাদের বাড়ির ডান পাশে ওই তরুনীর অপর এক আত্মীয়ের খালি ঘরে নিয়ে মুখের ভিতর ওড়না দিয়ে হাত পা বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ধর্ষকরা তরুনীর মাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করে প্রানে হত্যার হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর মোমেনুল হক শুভ জানান, মেয়েটির বাড়ী একটি নদীর পাশে। এই এলাকার জুয়া বখাটেদের আড্ডা থাকে। তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনাটি মর্মান্তিক। আমরা এই সঠিক বিচার চাই।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, পূর্ব কোন শক্রতা থেকে এই ঘটনা ঘটাতে পারে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অলরেডি অভিযানে নেমেছে।
ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকরা গ্রেপ্তার হবে।