বাম পাশের ছবি শনিবার দিনের আর ডান পাশের ছবি রোববারের
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ভুমিদস্যুরা জমি দখলে নিতে রাতের অন্ধকারে তান্ডব চালিয়ে জমির সামনে থাকা একটি দোকান ঘর নাই করে দিয়েছে। মালামালসহ দোকানের সাটার, টিন, এ্যাংগেল-দেয়ালের ইট খুলে ট্রাকে ভরে নিয়ে গেছে। এখন সেখানে দোকান ঘরের চিহ্ন নেই। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১১ মে) রাতে ফতুল্লার চর বক্তাবলী কানাইনগর এলাকায়।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে দোকান ও জমির মালিক সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বারী বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৮/৯ জরকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং-৩৩। মামলার আসামীরা হলেন- নাসির উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ (৩৫), শওকত মিয়া (৩০), ইব্রাহীম (২৮), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৫৪), মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মো: মোকলেছুর রহমান (৩৫), মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে নাসির উদ্দিন (৬২), মৃত বাবুল মেম্বারের মেয়ে রিকু ইসলাম (৪০) ও মৃত সামন মিয়ার ছেলে আলী মিয়া (৫০)।
মামলার তথ্যমতে, ফতুল্লার চর বক্তাবলী মৌজার সিএস-২১৬৪, এসএ-১৬৯, আরএস-১৬৬৫ নং খতিয়ান ভুক্ত, সিএস-৫২৬৩, এসএ-৪৬৭৭, আরএস-১১৫০৬নং দাগে ৩০ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে ও আম-মোক্তার নামা দলিল মূলে মালিক হয়ে ত ১৪ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন জামাল উদ্দিন বারী। জমিটি কানাইনগর কাঁচা বাজার ও রাস্তা সংলগ্ন হওয়ায় জমির সামনে ৪টি দোকান-ঘর নির্মাণ করে মাসিক ভাড়া দেন তিনি। কিন্তু দোকান নির্মাণ করার পর থেকে মামলার আসামী ও তাদের সহযোগি অজ্ঞাত লোকজন জামাল উদ্দিন বারীর দোকান ঘর ও জমি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় দোকানদারদের দোকান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি ও চাপ সৃষ্টি করে আসছে। এমতাবস্থায় ৪টি দোকানের একজন ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলী (৪০) দোকানের জামানত বাবদ অগ্রীম টাকা ফেরত চায় জামাল উদ্দিন বারীর কাছে। পরে টাকা ফেরত নিয়ে মোহাম্মদ আলী দোকান থেকে তার মুদি মালামাল সরিয়ে নেয়। মোহাম্মদ আলী তার মালামাল সরিয়ে নেয়ার পর দোকানে জামাল উদ্দিন বারীর একটি ফ্রিজ, সিলিং ফ্যান, ডেকোরেশনসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
এদিকে দোকান ঘরটি দখলের উদ্দেশ্যে শনিবার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে মামলার আসামীসহ অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জন রামদা, ছোরা, লোহার রড, হেমার, শাবল, লাঠি সোঠা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দোকানের শাটার ভাংচুর করে দোকানের ভিতরে থাকা ফ্রিজ, সিলিং ফ্যান, ডেকোরেশন সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বের করে নেয়। এক পর্যায়ে আসামীরা দোকান ঘরের টিন, এ্যাংগেল, শাটার ও দেয়ালের ইট ভাংচুর করিয়া একটি অজ্ঞাত নামা ট্রাকে উঠায়। সংবাদ পেয়ে জামাল উদ্দিন বারীর লোকজন যেয়ে বাধা দিলে আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মারধর করতে উদ্যত হয়। পরে হুমকি-ধামকি দিয়ে দোকানের ভিতরে থাকা একটি ফ্রিজ, সিলিং ফ্যান, ডেকোরেশন সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল এবং দোকানের টিন, এ্যাংগেল, শাটার ও দেয়ালের ইট সহ ৫ লাখ টাকার মামলা ট্রাকে যোগে নিয়ে যায়। এবং দোকান ঘরটি ভাংচুর করে প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আযম জানান, ঘটনা সত্যতা পেয়ে আমরা মামলা নিয়েছি। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।