বন্দরে মহাসড়কে গাড়ী মেরামত করার সময় অজ্ঞাত নামা বাসের ধাক্কায় নয়ন (৩১) নামে পিকআপ চালক নিহত হয়েছে। নিহত পিকআপ চালক নয়ন নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার কুমারদী এলাকার আলমগীর মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহত পিকআপ চালকের বড় ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে সোমবার (৬ মে) সকালে অজ্ঞাত নামা চালককে আসামী করে বন্দর থানায় সড়ক র্দূঘটনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৮(৫)২৪।
এর আগে গত রোববার (৫ মে) দুপুর আড়াইটায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহসড়কের জাঙ্গালস্থ ঢাকাগামী লেন বিএসআরএম ফ্যাক্টরী সামনে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। দূর্ঘটনার পর থেকে ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী মাধ্যমে খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে নিহত পিকআপ চালকের মৃতদেহ উদ্ধারসহ দূর্ঘটনা কবলিত লং ভ্যাইকেল যার রেজি নং ঢাকা মেট্রো ট ২০-৬৫৮৫ ও ১টি মিনি কার্ভাড ভ্যান যার রেজিনং ঢাকা মেট্রো ম ১৪-১৩৫৪ এবং পিকআপ গাড়ী রেজি নং ঢাকা মেট্রো ন ১৩-৯০১০ জব্দ করে।
জানাগেছে, গত রোববার সকালে মুরগী বহনকৃত ঢাকা মেট্রো ন ১৩-৯০১০ নাম্বারের একটি পিকআপ গাড়ী চট্রগ্রাম হইতে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়।
পরে ওই দিন দুপুরে ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেন জাঙ্গালস্থ বিএসআরএম ফ্যাক্টরী সামনে ঢাকা মেট্রো ট ২০-৬৫৮৫ নাম্বারের লং ভ্যাইকেল গাড়ী সামনের ডানপাশের চাকা বিকল হওয়ায় গাড়ীটি মহাসড়কের উপরে মেরামত করার সময় অজ্ঞাতনামা একটি বাস লং ভ্যাহিকেল গাড়ি পিছনে ধাক্কা দিলে ওই সময় অজ্ঞাত নামা বাস চালক পিছন দিক দিয়ে পিকআপকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে পিকআপ চালক নয়ন মিয়া নিহত হয়।
সে সাথে আরো অজ্ঞাত নামা ২ জন মারাত্মক ভাবে জখম হয়। এ ঘটনায় নিহত পিকআপ চালকের পরিবার বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।