নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেছেন, যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলতো তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হতো। বাংলাদেশে অনেকগুলা বধ্যভূমি রয়েছে। সেই সকল নিহতদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা সোনার বাংলা পেয়েছি।
মুক্তিযোদ্ধারা কিভাবে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুঃসহ স্মৃতি ৫৩ বছর বয়ে বেড়াছে তা আমার মনে হলে শিহরিত হই। স্যালুট জানাই মুক্তিযোদ্ধাদের।
রবিবার (২৫ মার্চ) বিকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি ফাজেলপুর এলাকায় অবস্থিত বধ্যভূমিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং এনায়েতনগর ইউনিয়ন স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের সহযোগিতায় এই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নতুন প্রজন্মদের কাছে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। যদি তাদের কাছে ইতিহাস পৌছানো যায় তাহলে হয়তো বঙ্গবন্ধু যেমন সোনার বাংলা চেয়েছিলেন তেমন দেশ পেতে পারি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বাস্তবায়ন করতে পারছি না। কোমলমতি যারা আছো, তোমরা চেষ্ঠা করবে বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য।
বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বাস্তবায়ন করতে যা যা করার প্রয়োজন তোমরা তা তা করবে। মুক্তিযোদ্ধের শক্তির পক্ষে সব সময় কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দেদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আরও ছিলেন জেলা ডেপুটি কমান্ডার এড. নুরুল হুদা, সদর উপজেলা সাবেক কমান্ডার শাহজাহান ভূঁইয়া জুলহাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শামসুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) শফিকুল আলম, এনায়েতনগর ইউনিয়ন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সবুজ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।