শুক্রবার (২২ মার্চ) ছিল ১১ রমজান। রমজানের দ্বিতীয় জুম্মাবার। দ্বিতীয় জুমার নামাজের আজানের আগে থেকেই মুসুল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে উপস্থিত হতে শুরু করেন। রোজাদারদের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ছিল অভূতপূর্ব উদ্দীপনা।
মসজিদগুলোতে মুসুল্লিদর স্বতঃস্ফূর্ত ও ধর্মীয় আবেগভরা উপস্থিতি ছিল। ফতুল্লার কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদ সহ ফতুল্লার প্রতিটি পাড়া মহল্লার মসজিদগুলোতে আল্লাহর রহমত প্রত্যাশী নানা বয়সী মানুষ যেন শ্রোতের গতিতে ছুটে আসেন। সেখানে তিল ধরণের ঠাই ছিল না।
মসজিদে এবং বারান্দায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় অসংখ্য মুসুল্লি মসজিদের ছাদ, রাস্তায় পাটের ছালা-চট-মাদুর-চাটাই বিছিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে গেছেন জুম্মার নামাজ আদায়ে।
নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে হয় দীর্ঘ মুনাজাত। ঈমাম ও খতিবদের বিশেষ মুনাজাতের সময় ছিল ‘আমিন আমিন ধ্বনি’ আর গুনাহ মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে কাঁন্না।
এ সময় সারাবিশ্বের নির্যাতিত নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত অভিবাসী নির্যাতিত মুসলিম ভাইবোন ও শিশুদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।