ফতুল্লার দাপা ব্যাংক কলোনী এলাকায় রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল (৩২) নামের এক যুবক কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়ে পুলিশে খবর দিলো ডাকাতি চেস্টার মামলার আসামী কিশোর গ্যাং লিডার জয় বাহিনীর প্রধান জয় ও তার সহোযোগি সন্ত্রাসীরা।
এ সময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল কে ডাকাত আখ্যায়িত করলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতির কোন আলামত বা স্বাক্ষী খুজেঁ পায়নি বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়।
তবে আহত রাসেলের অভিযোগ গত কয়েক দিন পূর্বে জয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এতে করে জয় ধারনা করে মোল্লা রাসেল ওকে গ্রেপ্তার করিয়েছে।
আর এই সন্দেহে জয়, আগুন, শান্ত, ইসমাইল সহ আরো ১০-১২ জন তার উপর হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেশীয় তৈরী বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র তার হেফাজতে দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত নয়টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ব্যাংক কলোনী এলাকায়।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের বর্ননা মতে, বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দাপা বেপারীপাড়া,ব্যাংক কলোনী এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক এক রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল নামের যুবক কে ব্যংক কলোনী মাদ্রাসা গলিতে মারতে মারতে টেনে হিচড়ে নিয়ে আসে।
এক পর্যায়ে লোহার পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে পা ঙেঙ্গে ফেলে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীদয়দের কেউ কেউ মারার কারন জিজ্ঞেস করলে যুবকরা জানায়, রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল ডাকাতি করতে এসেছিলো।
তারা টের পেয়ে ধারালো চাপাতি, রামদা, লোহার পাইপ, ছুরিসহ মোল্লা রাসেল কে আটক করে পিটুনি দেয়। পুলিশে সংবাদ দেয়া হয়েছে বলেও যুবকরা জানায় স্থানীয়দের। পরে পুলিশ এলে ঐ যুবকেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এ সময় মোল্লা রাসেল নামের ওই যুবক কে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আহত রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেল জানান, গত কয়েক দিন পূর্বে জয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এতে করে জয় ধারনা করে মোল্লা রাসেল ওকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। এর জের ধরে চিন্থিত ছিনতাইকারী, মাদক ব্যববসায়ী জয় বাহিনীর প্রধান জয়, গণধর্ষণ মামলার আসামী শান্ত, আগুন, ইসমাইল সহ ১০-১৫ জনের একটি দল রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে একটি ঘরের ভিতর আটকে রেখে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে ফেলে ।
এক পর্যায়ে তার হাতে মাদক দিয়ে এবং বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র সামনে রেখে ভিডিও করে। পরবর্তীতে তারা তাকে ঐ রুম থেকে টেনে হিচড়ে মাদ্রাসা গলির রাস্তায় নিয়ে আসে এবং তাকে ডাকাত আখ্যায়িত করে আবারে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে পুলিশ আসছে এমন সংবাদ পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) নূরে আযম মিয়া জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে তার পরিবাররের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়।
আহত ওই যুবক বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাছাড়া পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।