বন্দরে “শ্লীলতাহানির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ” এর সাথে জড়িত প্রধান আসামী সিফাত (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
রবিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া। এরআগে শনিবার ফতুল্লার রেল ষ্টেশন এলাকায় সিফাতের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সিফাত বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার নাহিদ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য তাকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় ভুক্তভোগী নারী ও তার ১৩ বছরের চাচাতো ভাই সিয়াম নরপদীস্থ হান্নান মিয়ার দোকানের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে সেখানে উৎ পেতে থাকা সিফাত ওই যুবতীকে পথরোধ করে জোর পূর্বক একটি অজ্ঞাতনামা অটো গাড়িতে করে নরপদী স্কুলের সামনে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে সিফাত ও অয়নসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন মিলে ওই নারীকে জোর পূর্বক ভাবে হাত পা বেঁধে পরিধানের জামা কাপড় টানা হেচড়া করে ছিড়ে ফেলে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে ভূক্তভোগী নারী গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঘারমোড়াস্থ চাচাতো বোনের বাড়িতে দাওয়াতে ওই সময় সিফাত ভূক্তভোগী নারী চাচাত বোনের মোবাইল ফোন করে তাকে নরপদী ব্রিজের সামনে আসতে বলে।
ওই সময় ভূক্তভোগী নারী ব্রিজে আসবে না বলে জানালে এ ঘটনায় সিফাত ক্ষিপ্ত হয়ে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সম্মানের ভয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় বন্দর থানার কুড়িয়াভিটা ব্রীজের সামনে আসলে ওই সময় সিফাতের সাথে থাকা অয়ন ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দেয়।
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিফাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জনের সহায়তায় লম্পট অয়ন ওই নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায়।