নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিজ ঘরে দিপালী রাণী (৪২) নামে এক গৃহবধূ কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাস (৫০) কেও কুুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বন্দর উপজেলার লেজারস এলাকার কাউসার মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এরআগে রাতে যে কোনো সময় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ম্যানেজার ফরিদা বেগম ও ছেলে সিয়ামকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ফরিদার স্বামী ফরিদ পলাতক রয়েছেন।
নিহতের মেয়ে মলি দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হচ্ছিল। আমি ও ছোট বোন অথৈ ঘরের বাইরে দিয়ে ছিটকিরি লাগিয়ে বিয়ে বাড়িতে যাই। রাত সাড়ে বারোটার দিকে বাড়িতে ফিরে বৈদ্যুতিক বাতি না জ¦ালিয়ে দু’বোন খাটে ঘুমিয়ে পড়ি।
শুক্রবার সকাল আট টায় ঘুম ভাঙলে উঠে দেখি মায়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে । তার শরীরে অনেকগুলো কোপের ক্ষত রয়েছে। এর পাশেই বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। কাছে গিয়ে দেখতে পাই তার নিঃশ্বাস চলছে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
হত্যার সাথে বাড়ির কেয়ারটেকার জড়িত রয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই বাড়ির বাড়িওলার বোন ফরিদা বেগম কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। তার সাথে প্রায় সময় মায়ের ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিছুদিন আগেও রান্না করা নিয়ে তার সাথে ঝগড়া হয়েছে।
এছাড়া ঘর ভাড়ার টাকা নিয়েও ঝগড়া হয়েছে। তবে তাদের সব ভাড়া আমরা ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছি। এই ঝগড়ার রেশ ধরে ফরিদা বেগম ও তার স্বামী মিলে আমার বাবা-মাকে কুপিয়েছে। বাবা হাসপাতালে আহত অবস্থায় এই ঘটনার কথা স্বীকার করে আমাদের জানিয়েছে। আমি আমার মায়ের খুনিদের বিচার চাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক। এই ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহত দিপালী রাণীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।