ফতুল্লায় দাবি করা চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী ও তার ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম ও তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বটতলার রেল ষ্টেশন ওরিয়ান ড্রাইং সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ খান বাদী হয়ে ওই দিন রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ফিরোজ খান জানান, ফতুল্লা থানাধীন বটতলার রেল ষ্টেশন সংলগ্ন "কুতুবআইল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ" নামক দোকান ঘর দিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে আসতাছি।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এলাকার বখাটে, কুখ্যাত চাঁদাবাজ, নেশা দ্রব্য বিক্রেতা ও অসৎ চরিত্রের লোক নিজাম উদ্দিন লিজার ছেলে অনিক বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসিয়া আমার নিকট হইতে টাকা দাবি করে এবং আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে বিবাদীসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন একত্র হইয়া আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসিয়া আমাকে জানায় যে, যদি আমি অত্র এলাকায় ব্যবসা করি তাহা হইলে বিবাদীগনকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে, যাহাতে আমি রাজি না হওয়ায় বিবাদীগন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে ।
তিনি আরও জানান, আমি গালি গালাজ করিতে বারণ করিলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে এলোপাতারি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। যাহাতে আমার বড় ভাই নজরুল (৫৫) দেখিতে পাইয়া আগাইয়া আসিয়া বিবাদীগনকে বাধা প্রদান করিলে তাহারা আমার ভাইকেও মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন নিলাফুলা জখম করে।
অজ্ঞাত নামা বিবাদী আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোড়া দ্বারা পেটে আঘাত করার চেষ্টা করিলে আমার ভাই ছোড়ার আঘাত ফেরানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার ভাইয়ের বাম হাতের কনুইয়ে ছোড়ার আঘাত লাগিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় বিবাদী তাহার হাতে থাক বাঁশ দ্বারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিয়া গুরুত্বর ফাটা রক্তাক্ত জখম করে ।
এসময়ে আমার ডাক চিৎকার গুনিয়া আশে পাশের স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে ও আমার ভাইকে বিবাদীগনের নিকট হইতে উদ্ধার করিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
আমি হাসপাতালে যাওয়ার সময় বিবাদী আমাকে জানায় যে, যদি আমি এ ব্যাপারে বেশি বাড়াবাড়ি করি বা কোথাও কোন প্রকার অভিযোগ করি তাহা হইলে আমাকে জানে মারিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
