আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান তুষারকে হত্যার উদ্দেশে গুলির ঘটনায় ইউপি সদস্য সোহেলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সোহেল মেম্বারের সহযোগী সাইফুল (২৭), মাসুদ ( ২৮) হাবিবুর (২৭), শান্ত (৩০), শিপন(২৪), আল আমিন (২৮) ও মোবারক (৫৫)। তাদের বাড়ি উপজেলার বালিয়াপাড়া ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া বাজারে বাদী কামরুল হাসানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদয়ন এন্টারপ্রাইজে প্রবেশ করে পিস্তল, চাপাতি,রামদা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ছুড়ে এবং তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
আহত কামরুল হাসান তুষার জানান, গত ৪ অক্টোবর রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রতিদিনের মতো বালিয়াপাড়া বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে রিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। কাছাকাছি পৌঁছালে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মিয়াসহ তার অনুসারীদের দায়ী করে লাগাতার যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভে তুষার জোড়ালো ভূমিকা রাখায় মাদক ব্যবসায়ীরা তাকেও নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো।
শুক্রবার বালিয়াপাড়া যুবলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। দ্রুত পাশের বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় তুষার। একটি গুলি পায়ের নিচের অংশ লেগে চলে যায়। এতে আহত হন তিনি। দুর্বৃত্তদের ছোড়া তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।