নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শুক্রবার,

২২ নভেম্বর ২০২৪

ফতুল্লায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৯:৫৫, ৩ নভেম্বর ২০২৩

ফতুল্লায় ছেলের হাতে মা খুন, ঘাতক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছেলের হাতে খুন হয়েছে মা মধুমালা বেগম (৫৫)। রান্নাঘরের বটি দিয়ে কুপিয়ে নৃসংশভাবে তাকে হত্যা করা। হত্যার পর বটি নিয়ে বাসার শুয়ে থাকে। ঘাতক ছেলের নাম সুমন মিয়া (৩৫)।  ঘটনটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর)  দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ  রেলষ্টেশন উকিলবাড়ি এলাকায়।

 

এ ঘটনায় নিহত মধুমালার স্বামী নুরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ সুমনকে ধারালো বটিসহ গ্রেপ্তার করেছে।


ঘটনার প্রতক্ষদর্শী ও পাশের বাড়ীর যুবক মিলন জানায়, রাত সাড়ে বারোটার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পান  রাস্তায় পরে রক্তাক্ত এক। মহিলা। পাশেই দাড়িয়ে আছে এক যুবক ও এক পুরুষ। সামনে গিয়ে তাদের কে তিনি চিন্থতে পারেন। তখন দেখেন রাস্তায় পরে থাকা মহিলাটি হলো মধুমালা বেগম আর দা হাতে দাড়িয়ে আছে তারই ছেলে আর পাশে দাড়ানো পুরুষটি হচ্ছে মধুমালার স্বামী। মিলন জানায়,ছেলেটি মাদকাসক্ত ছিলো।হয়তো মাদকে টাকা চেয়ে না পেয়ে মায়ের সাথে ঘরে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে বটি নিয়ে ধাওয়া করে মাকে রাস্তায় ফেলে কুপিয়ে হত্যা করে।


 

নুরুল ইসলাম জানান, পরিবার নিয়ে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলষ্টেশন উকিল বাড়ি মোড় এলাকায় কামরুন নাহারের বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়ির কাছে আমার ভাতের হোটেল আছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ওই হোটেল চালাই। আমার দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সুমন দ্বিতীয় সন্তান। মানষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সুমনকে তার স্ত্রী তালাক দিয়ে দুই কন্যা সন্তানসহ বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর ৬বছর আগে সুমনকে বিদেশে (ইরাক) পাঠানো হয়। সেখানে দুই মাস থেকে দেশে চলে আসছে। রাতে হোটেল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেখতে পায়  সুমন ঘর থেকে বটি নিয়ে এসে রাস্তায় তার মাকে এলোপাথারী কুপিয়ে মুখ, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে। এতে  ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এরপর সুমন বটি হাতে নিয়ে ঘরে গিয়ে খাটে শুয়ে ছিলো। খবর পেয়ে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ এসে সুমনকে ঘর থেকে বটিসহ গ্রেফতার করে এবং তার মায়ের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।

 

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম বলেন, মাকে খুনে অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলেকে ভারসাম্যহীন বলা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহরের ভিক্টোরীয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়: