২ সন্তানের জননী হয়েও বিভিন্ন ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে নাটকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুরুষ খেঁকো নারী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক বরাবর দায়ের করা হয়েছে।
বন্দরের কুড়িপাড়া লালখাঁরবাগ এলাকার মোক্তার হোসেনের মেয়ে মমতাজের কয়েক বছর বিয়ে হয় কুড়িপাড়া এলাকার হাজী আরব আলীর ছেলে জামালের সাথে। সে ২ সন্তানের জননী। জামাল প্রবাসে রয়েছে। মমতাজ মোবাইলে ঢাকার এক ছেলের সাথে ফেসবুকে পরিচয় ঘটিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে বিয়ে করে।
যেহেতু সে ২ সন্তানের জননী ও বিবাহীত তাই সে গত বছরের ১৬ নভেম্বর ঢাকা নূরজাহার রোডের কাজী অফিসে গিয়ে কাজী মাওলানা আবুল হোসেনের মাধ্যমে স্বামী জামালকে তালাক দেয়। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সেই ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে বিয়ে করে।
কিন্তু ২য় বিয়ে করেও সে তালাক দেয়া প্রথম স্বামীর সাথে সংসার অব্যাহত রেখেছে। মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে ঢাকায় গিয়ে সেই প্রেমিক স্বামীর সাথে কিছু সময় অবস্থান করে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে সে সেই ছেলের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক কাটা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তালাকের নোটিশ স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে এসে পৌছলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এলাকাবাসী জানান, এই মেয়ের চরিত্র নিয়ে আগেও বিচার সালিশ হয়েছে। তার বিষয়ে কিছু বলা মানে নিজেদের কাছে ঘুনা জন্ম নেয়। আমরা এ ধরনের নষ্টা মেয়ে সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না।
এ বিষয়ে নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, লালখাঁরবাগ এলাকার মমতাজ নামের এক মেয়ের নোটিশ পেয়েছি যাতে সে তার স্বামী জামালকে তালাক দিয়েছে। তাই মমতাজের এ ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে বিরত ও এলাকার সুনাম রক্ষায় এ বিষয়ে ডিস, ইউএনও ও ইসলামী ফাউন্ডেশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।